logo
আপডেট : ৯ জুন, ২০২২ ০৮:৫৫
বাবরের রেকর্ড, পাকিস্তানের নাটকীয় জয়
ক্রীড়া ডেস্ক

বাবরের রেকর্ড, পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

দারুণ একটা ইনিংস খেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার শাই হোপ। ১২৭ রানের ঝলমলে ইনিংস। আর তাতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভাওে ৩০৫ রানের নির্ভরযোগ্য স্কোর দাঁড় করিয়েছিল সফরকারীরা। তারপরও জয়ের দেখা পায়নি। কারণ প্রতিপক্ষ দলে যে একজন বাবর আজম রয়েছেন। অধিনায়কোচিত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। আর তাতেই পাকিস্তান ৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে। ১০৩ রান করেন বাবর।

ম্যাচে শাই হোপ করেছেন ১২৭ রান। বাবরের রান ১০৩। আরো আছে শামারহ ব্রুকসের ৭০ রান এবং ইমাম উল হকের ৬৫ রান। তা সত্ত্বেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন খুশদিল শাহ। এই পাকিস্তানী ব্যাটারের রান মাত্র ৪১। ২৩ বলে এ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। আসলে তার ব্যাটে ভর করেই পাকিস্তান জয় পয়েছে। ইমাম উল হক এবং বাবর আজমের ব্যাটে ভর করে পাকিস্তানের শুরুটা দারুণ হলেও এক পর্যায়ে তারা পথ হারিয়ে বসেছিল। আর তখনই খুশদিল শাহের ব্যাটিং পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। ২৩ বলে ৪১ রান করেন তিনি। মূলত তার ইনিংসই পাকিস্তানকে জয়ের পথ সুগম করে। চারটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

দূর্দান্ত সময় পার করছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। আরো একটা রেকর্ড করেছেন তিনি এ ম্যাচে। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে কম ম্যাচে এক হাজার রান করার হাতছানি ছিল তার সামনে। এ জন্য প্রয়োজন ছিল ৯৮ রান। সেই লক্ষ্য ঠিকই পৌঁছেছেন তিনি। মাত্র ১৩ ইনিংসে বাবর অধিনায়ক হিসেবে এক হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন। এর আগে এ রেকর্ড ছিল ভারতের বিরাট কোহলির। ১৭ ইনিংসে তিনি অধিনায়ক হিসেবে এক হাজার রান করেছিলেন। এছাড়া এবি ডি ভিলিয়ার্স ১৮ ইনিংসে, কেন উইলিয়ামসন ২০ ইনিংসে ও অ্যালিস্টার কুক ২১ ইনিংসে এ কীর্তি গড়েছিলেন।

এছাড়া বাবরের ছিল এটা তৃতীয় ওয়ানডে শতক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তান এ অধিনায়ক। এমন কীর্তি বাবর এবারই যে প্রথম দেখালেন তা নয়। এর আগেও তিনি একবার টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফলে ওয়ানডে ক্রিকেটে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে দুইবার টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে ১৩ ম্যাচে এ নিয়ে ছয়বার সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। আর সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের পাকিস্তানের এ অধিনায়কের ওয়ানডে সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭। আর তিনটি শতকের দেখা পেলে তিনি পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা সাঈদ আনোয়ারের পাশে চলে আসবেন। ২০০৩ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা সাঈদ আনোয়ার ২৪৭ ম্যাচে ২০টি সেঞ্চুরি করেছেন। ওয়ানডে সেঞ্চুরির তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। ২০১২ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সংখ্যা ৪৯টি।

ওয়ানডে ম্যাচ সাধারণত দিনে শুরু হয়ে দিনেই শেষ হয়। কিন্তু মুলতানে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচটি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুসারে দুইদিনে শেষ হয়েছে। কেননা প্রচণ্ড গরমের কারণে ম্যাচটি দুপুরে শুরু না হয়ে বিকাল চারটায় শুরু হয়েছিল। আর শেষ হয়েছে রাত ১২টার পর। সিরিজ শুরুর আগেই গরম নিয়ে উভয় দল উদ্বিগ্ন ছিল। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বলেছিলেন, গরমকে হারিয়ে তারা সিরিজে ভালো করবে। প্রথম ম্যাচে বাবর যেমন তার কথা রেখেছেন তেমনি কথা রেখেছে তার দল।