শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়ে নির্মিত হলো প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘অবিনশ^র’। এটি নির্মাণ করলেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান। সম্প্রতি কুষ্টিয়া, কুমারখালী ও ঢাকার বেশ কয়েকটি স্থানে এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। বর্তমানে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আগামী ২ নভেম্বর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ১৩৬তম জন্মবাষিকী মুক্তি দেওয়া হবে এটি।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সৈনিক বলা হয় ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে। তিনি ছিলেন একাধারে আইনজীবী, সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ। তার জীবন ছিল বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্র্যময়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানে বাংলা ভাষা নিয়ে সর্বপ্রথম সরব হয়েছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা পুত্র দিলীপ কুমার দত্তসহ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদেও কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনাই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে উঠে আসবে।
২০১৯-২০ সালের সরকারি অনুদানে নির্মিত এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন নওফেল জিসান, আতিক রহমান, যশ জায়েদী, আমিরুল ইসলাম, শাহীন সরকার, আসলাম আলী, আনোয়ার বাবু, হালিম স্বপন প্রমুখ।
এতে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়ে কথা বলেছেন মেজর জেনারেল (অব.) ইমামুজ্জামান, লেফন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ জহির, বীরপ্রতীক ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের দৌহিত্র অ্যারোমা দত্ত, এমপি।
প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যে কয়জন মানুষকে নিয়ে আমরা সর্বময় আলোচনার মধ্যে থাকি, সেখানে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত অনুপস্থিত। তাকে আমরা কখনো আলোচনার মধ্যে আনি না। অথচ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল সূতিকাগার ভাষা আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। আর সে কারণেই শেষ পর্যন্ত তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জীবন ও কর্মেও ওপর নির্মিতব্য প্রামাণ্যচিত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষার এই মহান সৈনিককে তরুণ প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষার আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও চেতনাকে পৌঁছে দেওয়া।