logo
আপডেট : ৯ জুন, ২০২২ ২০:০২
বাজেটে জনগণের ওপর চাপ বাড়িয়ে লুটপাটের হিসাব খোলা হয়েছে : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেটে জনগণের ওপর চাপ বাড়িয়ে লুটপাটের
হিসাব খোলা হয়েছে : বিএনপি

প্রতীকী ছবি

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে জনগণের ওপর চাপ বাড়িয়ে সরকার লুটপাটের নতুন হিসাব খুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় দলটির নেতারা বলছেন- অবৈধ ও ভোটারবিহীন বর্তমান সরকারের দেয়া বিশাল আকারের এই বাজেটের বড় অংশ সরকারি দলের লোকজনের পকেটে চলে যাবে।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- প্রতিবছরই আমরা বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ার দিয়ে থাকি। এ বছর আর প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না।

কারণ কোন বাজেটের প্রতিক্রিয়া দেব, কার বাজেটের প্রতিক্রিয়া দেব? কারা এই বাজেট করছে; যারা জনগণের প্রতিনিধি নয়। যাদের বাজেট দেয়ার কোনো অধিকার নেই।

তিনি আরো বলেন, যারা এই সমস্ত বাজেট তৈরি করে শুধু নিজেদের লুটপাটের জন্য। তারা কী করে ভবিষ্যতে আরো লুটপাট করবে তার একটি হিসাব তৈরি করে।

আমরা অত্যন্ত খারাপ সময় অতিবাহিত করছি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কাফরুল থানার ৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা এ দেশের মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় তারা এ দেশটাকে একটি লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এত টাকার বাজেট দিয়েছে। ওখান থেকে কত টাকা লুট করবে তার একটা হিসাব বের করছে।

এ কারণেই এই বাজেট আমার কাছে এতটুকু গুরুত্ব পায় না। আর এ বিষয় নিয়ে আমি বেশিকিছু বলতে চাচ্ছি না।

এদিকে, বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন- দখলদার, অবৈধ ও অনির্বাচিত এই সরকারের বাজেট নিয়ে কথা বলতে চাইনি।

তারপরও দেশের মানুষকে জানানোর স্বার্থে বড় দল হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশবাসীকে প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থা জানানোর স্বার্থে বলতে চাই- এ বিশাল আকারের বাজেটে কতটুকু দেশের জন্য ও

মানুষের কাজে লাগানো হবে সেটিই বড় প্রশ্ন। এই পদ্মা সেতুতে প্রাক্কলিত ব্যায় ১০ হাজার কোটি টাকা ঠিক করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। সেই পদ্মা সেতুতে এখন ব্যায় করা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি। মূলত লুটপাটের জন্যেই এতো টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

একইভাবে প্রায় সাত লক্ষ কোটি টাকার বাজেটের একটা বড় অংশ সরকারি দলের নেতাদের পকেটে চলে যাবে।

আবার যারা বিদেশে টাকা যারা পাচার করেছে তাদেরকে দেশে টাকা পাঠিয়ে বৈধ করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

এটা দুনিয়ার কোন সভ্য দেশে হতে পারে না। একটা বাজেটের অর্ধেকের বেশি টাকা বিদেশে পাঠিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে। অনির্বাচিত এই সরকারের কাছ থেকে এর থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।

গ্যাস, পানি বিদ্যুতের দাম ও ট্যাক্স বাড়িয়ে জনগণের পকেটের টাকা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। এসব টাকা বিদেশে পাচার না করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাজে লাগানো যেত।

এই বাজেটকে বিএনপি কোনভাবে সমর্থন করে না বলেও জানান সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই বাজেটের মাধ্যমে জনগণের উপর চাপ বাড়বে।