logo
আপডেট : ১০ জুন, ২০২২ ১১:৩২
সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি
১৩০ গার্মেন্টসের ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ছিল ডিপোয়
রুবেল খান, চট্টগ্রাম

১৩০ গার্মেন্টসের ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ছিল ডিপোয়

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো (ফাইল ছবি)

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে পোশাক খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। আগুনে পুড়ে গেছে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে রপ্তানির জন্য রাখা বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক। ১৩০টি পোশাক কারখানার ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ছিল এই ডিপোতে। তবে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ডিপোতে আগুন লাগার কারণে পোশাক শিল্পের কী পরিমাণ পণ্য ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ জানতে এখন ফরোয়ার্ডার ও শিপিং এজেন্ট কাজ করছে। কী পরিমাণ মালামাল বন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছে এবং দুর্ঘটনার সময় ডিপোতে কী পরিমাণ পণ্য ছিল, তা হিসেব করছে তারা। আশা করছি দুই-একদিনের মধ্যেই তা জানা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ডিপোতে যে পণ্যগুলো আগুনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে বিদেশি বায়ারদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বায়াররা এসব পণ্যের ইন্স্যুরেন্স করে রাখে। আমরা পণ্যগুলোর জন্য রপ্তানি আদেশ নিয়ে ফেলেছি। কাস্টমসের আন্ডারে পণ্যগুলো চলে গেছে। এখন কী হবে তা নিয়ে ব্যাংক, কাস্টমস ও বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিদেশি ক্রেতারা কী করতে চান, তাদের মতামত নিতে হবে।’

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘ডিপোতে কী পরিমাণ পণ্য ছিল বা ক্ষতি হয়েছে তা এখনো আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে নির্ধারণ করতে পারিনি। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।’

বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, এইচঅ্যান্ডএম, টার্গেট করপোরেশন, এমবিএইচ, বেস, ফেম এলএলসির মতো বড় বড় পোশাক আমদানিকারকের পোশাক পণ্য ছিল বিএম ডিপোতে। পাশাপাশি জেএফকে ফ্যাশন, একেএইচ নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, ভার্সেটাইল টেক্সটাইল, ভিশন অ্যাপারেলস, ইমপ্রেস-নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইলস, আয়শা ক্লথিং, ভ্যানগার্ড গার্মেন্টস, অ্যারো ফেব্রিকস, ডিভাইন ইনটিমেটস, প্যাসিফিক জিনস, সি ব্লু অ্যান্ড সি টেক্স টেক্সটাইল, রিও ফ্যাশনওয়্যারের মতো প্রতিষ্ঠানের বানানো পোশাক ছিল।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ডিপোতে ১৬ টি কন্টেইনারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থাকায় আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের লোকজনসহ ৪৬ জন নিহত ও চার শতাধিক আহত হন। আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের অনেকেরই চোখ নষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।