logo
আপডেট : ১২ জুন, ২০২২ ০০:০০
দাঁত ভালো রাখতে বাদ দিন পাঁচ খাবার

দাঁত ভালো রাখতে বাদ দিন পাঁচ খাবার

সুন্দর দাঁতের হাসি লুকিয়ে আছে ঝকঝকে সাদা ও সুস্থ দাঁতে। তাই তো অবশ্যই দাঁতের যত্ন নিতে হবে। সময় করে দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করা, ফ্লসিং এগুলো দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য জরুরি।


তবে আপনি কি জানেন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে? যেমন শিশুদের আমরা প্রায়ই বলি, ‘বেশি চকোলেট খাবে না। এতে দাঁত ক্ষয় হয়।’ দাঁত ভালো রাখতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।


বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত অত্যন্ত অ্যাসিড এবং ক্যাফেইনযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে দাঁতে বিক্রিয়া ঘটতে পারে। যে কারণে দাঁতে দাগ-ছোপ পড়ে যেতে পারে। দাঁতে দাগ পড়লে দেখতে খারাপ লাগে, সেই সঙ্গে নষ্ট হয় আত্মবিশ্বাসও।

এটি অনেকের হীনম্মন্যতারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ছাড়াও ছোট ছোট সমস্যা থেকে বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক দাঁত ভালো রাখতে কোন খাবারগুলো বাদ দিতে হবে-

চা: দাঁতের জন্য ক্ষতিকর পানীয় হতে পারে চা। আপনি যদি খুব বেশি চা পান করে থাকেন, তবে সেটিও হতে পারে দাঁতের কালো দাগের কারণ। অতিরিক্ত চা পান করলে তা দাগের মাত্রা বাড়িয়ে তুলবেই। তাই সাধারণ চায়ের বদলে গ্রিন টি পান করার অভ্যাস করতে পারেন। এতে দাঁতে দাগ পড়বে না এবং দাঁত ভালো থাকবে।

ব্লাক কফি: কফি অনেকের কাছেই পছন্দের একটি পানীয়। দিনের মধ্যে কয়েকবার ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকের। কিন্তু এই পানীয় বেশি পান করার কারণে দাঁতে দাগ-ছোপ পড়ে যেতে পারে। এরপর হলুদ কিংবা কালো দাগ আরো বাড়তে পারে। তাই কফি পান করলেও পরিমিত পান করাই ভালো।

 

রেড ওয়াইন: রেড ওয়াইন শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করার পাশাপাশি আপনার দাঁতেরও ক্ষতি করবে। কারণ রেড ওয়াইন থেকে দাঁতে অ্যাসিডের মাত্রা অত্যন্ত বেড়ে যায়। এর ফলে দাঁতে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই রেড ওয়াইন পান করা বন্ধ করা উচিত।

 

সয়া সস: বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সয়া সস। এটি খাবারে স্বাদ ও গন্ধ যুক্ত করে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করে থাকেন, তবে সেই খাবার খেলে দাঁতে দাগ পড়তে পারে। তাই খাবারে সয়া সস ব্যবহার করলে সেটি যেন পরিমিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

 

তামাক ও সিগারেট: তামাক ও সিগারেট কোনোটাই দাঁতের জন্য ভালো নয়। কারণ এই দুইয়ের কারণে আপনার দাঁতে খুব সহজেই কালো দাগ পড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত সিগারেটের কারণে ঠোঁট কালো হয়ে পড়ে। তাই এর মাত্রা কমানো উচিত। সম্ভব হলে সিগারেট ও তামাক পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিন।