ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশে তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন, সামাজিক সংগঠনগুলো আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সহায়তায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
তেমনিভাবে জেলা, উপজেলা পর্যায়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংগঠনগুলোর চোখে পড়ার মতো সহায়তা কার্যক্রমও লক্ষ্য করা যায় ভর্তি মৌসুমে।
এসব সংগঠনের সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম হিসেবে কাজগুলো তারা করেন।
নির্দিষ্ট তথ্যকেন্দ্র বসিয়ে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রের পথ দেখিয়ে দেওয়া, পানি, কলম, মাস্ক ইত্যাদি বিতরণ প্রভৃতি।
এমনকি কারো থাকার ব্যবস্থা না থাকলে পরীক্ষার আগের দিন সক্ষমতা অনুযায়ী থাকার ব্যবস্থাও তারা করেন।
এ নিয়ে কথা হয় লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান জিহাদের সঙ্গে।
দুইটি তথ্যকেন্দ্র বসিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতিগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা।
নতুন শিক্ষার্থীরা এসে কেন্দ্র খুঁজে পান না। সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে তা দেখিয়ে দেই।
এ ছাড়া অনেকে কলম আনতে ভুলে যান অথবা গরমে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা আমরা করে থাকি।
এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অভিভাবক আসেন না সেক্ষেত্রে তাদের ব্যাগ, ফোন রাখাসহ আরো অন্যান্য সাপোর্ট দেয়া।
অনেকের ঢাকায় থাকার জায়গা নেই তাদের থাকার ব্যবস্থাও করা হয়।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব পঞ্চগড়ের সভাপতি রিফা জাকিয়া বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনেকেই দূর থেকে আসেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষদ বা তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র তারা চিনেন না তাই তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমরা বুথ বসিয়েছি।
এ ছাড়াও যারা দেরিতে আসে তাদের পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা বাইক সার্ভিস রেখেছি। শিক্ষার্থীরা তাদের মোবাইল, ঘড়ি, ব্যাগ বা যেগুলো পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেন না সেসব এখানে রেখে যাচ্ছেন। পরীক্ষা শেষে তারা এখান থেকে নিয়ে যেতে পারবেন।
গত ৩জুন থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৮টি বিভাগীয় শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা।
এরমধ্যে ৩ জুন ব্যবসায় অনুষদভুক্ত গ ইউনিট, ৪জুন কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ১০ জুন 'ক' ইউনিট এবং ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ঘ' ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
লিখিত এবং এমসিকিউর সমন্বিত এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবং নির্দিষ্ট মেধাক্রম নিশ্চিত করার মাধ্যমে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ঢাবিয়ান হিসেবে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারবেন।
এবার ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থী। তারমধ্যে ৬ হাজার ৩৫টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।