গণফোরাম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে বলেছেন, এই বাজেটে মানুষের মৌলিক চাহিদা গুরুত্ব পায়নি।
আজ শনিবার (১১জুন) গণফোরামের নিজ কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোহসীন রশিদ, মহিউদ্দীন আবদুল কাদের ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক প্রমূখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের বাজেট’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে এ বাজেট প্রণয়ন হয়নি।
জনজীবনের মানোন্নয়নের কোনো পরিকল্পনা বা দিক নির্দেশনা নেই। মানুষের মৌলিক চাহিদা গুরুত্ব পায়নি।
অর্থ পাচারকারী, ঋণনির্ভর, চোর-লুটেরা-দুর্নীতিবাজ চক্রের বাজেট প্রস্তাবিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনো উদ্যোগ নেই। চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়।
কৃষক-শ্রমিক বরাবরের মতো উপেক্ষিত। আমলানির্ভর এ বাজেট জনগণের জন্য শুভঙ্করের ফাঁকি।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, যে রাষ্ট্রে নীতিনৈতিকতা ও ন্যায্যতা থাকে না সে রাষ্ট্রে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের পদতলে জনগণ নিষ্পেষিত বঞ্চিত ও শোষিত হতে বাধ্য।
এই বাজেট তারই উৎকৃষ্ট প্রমাণ। যে রাষ্ট্র জনপ্রশাসনের নামে আমলাদের প্রভুত্ব কায়েম করা হয় সে রাষ্ট্রব্যবস্থা ভঙ্গুর হতে বাধ্য।
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দেশে মুদ্রাস্ফীতির ভয়ঙ্কর চাপ ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি থাকা সত্ত্বেও সমস্যা উত্তরণে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির অসহনীয় মূল্য জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গণফোরাম অনান্য নেতারা বলেন, সংবিধান, আইন, আইনের শাসনকে লণ্ডভণ্ড করে কর্তৃত্ববাদী শাসন টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কর্পোরেট ও লুটেরা সিন্ডিকেটকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হয়েছে এ বাজেটে।
তারা আরো বলেন, রাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করা অনির্বাচিত অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার আমলা, লুটেরা ও শোষক ধনিক শ্রেণির সুবিধার্থে মেগা প্রকল্পনির্ভর মহাদুর্নীতি-লুটপাটের বাজেট প্রস্তাব করেছে।
সেখানে জনগণের ভাগ্যে আছে মাকাল ফল।