গোলাপি লবণের আর এক নাম হিমালয়ান সল্ট। উত্তর পাকিস্তানের একাংশ পর্বতশ্রেণির নাম ‘সল্ট রেঞ্জ।’ ভূপ্রকৃতিতে অত্যধিক লবণের উপস্থিতির কারণেই এই নামকরণ। এ অংশেই পাওয়া যায় হালকা গোলাপি রঙের এই লবণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৮৪ রকম খনিজে পরিপূর্ণ এই হিমালয়ান সল্ট।
একটি জগের এক-চতুর্থাংশে গোলাপি লবণ নিয়ে জগ ভর্তি করে ফেলুন পানি দিয়ে। এবার এই মিশ্রণ থেকে রোজ এক চামচ করে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে পান করুন। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় পিঙ্ক সল্ট ব্যবহার করা হয়। তৈরি করা হয় সল্ট ইনহেলার।
এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ ফুসফুস ও সাইনাস পরিষ্কার রাখে। মৌসুমি অ্যালার্জি এবং বুকের যে কোনো সংক্রমণে পিঙ্ক সল্ট ফলপ্রসূ। সাধারণ লবণের তুলনায় সোডিয়াম কম হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কার্যকর পিঙ্ক সল্ট। তা ছাড়া এই লবণের গুণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে না। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে বলে হাড় মজবুত রাখতেও পিঙ্ক সল্ট অপরিহার্য।
পিঙ্ক সল্ট খেলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এটি সাহায্য করে পরিপাক ক্রিয়াতেও। পিঙ্ক সল্টের প্রভাবে উৎসেচক ক্ষরিত হয়। ফলে খাবার হজমে সাহায্য করে। বাথসল্ট হিসেবেও ব্যবহার করা যায় গোলাপি লবণ। ব্রণসহ অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে ত্বক মসৃণ রাখে এটি। পিঙ্ক সল্টে তৈরি ল্যাম্পও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে ঘর আলোকিত হওয়ার পাশাপাশি ঘরের বাতাসও বিশুদ্ধ থাকে।