গত শনিবার প্রকাশ্যে আসে চিত্রনায়ক ওমর সানী-জায়েদ খানের চড়-পিস্তলকাণ্ড। এবার ক্যামেরার সামনে মারামারিতে জড়ালেন নবীন চিত্রনায়ক আদর আজাদ। যেখানে ছিলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও পরিচালক সৈকত নাসিরও।
তাদের নতুন সিনেমা ‘তালাশ’র জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থাপককে বেধড়ক চড় ও লাথি দিতে দেখা যায় আদর আজাদকে। অভিযোগ উঠেছে, নিজেদের সিনেমার দিকে দৃষ্টি ফেরাতেই সাজানো এই মারামারি করেছেন নায়ক আদর আজাদ; যেখানে বুবলীও সামিল হয়েছেন। তবে তিনি আদরকে থামানোর চেষ্টা করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, উপস্থাপক আদরের গেটআপ ও আচরণের সমালোচনা করছেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচ মিনিট আগে আদর বের হয়ে গেছে। নিচে নেমেছে। সে তো দায়িত্বশীল না। ক্যারেক্টারের ভেতরেও নাই। দেখেন তার চেহারা।’
এমন সময় পরিচালক সৈকত নাসির বলেন, ‘আমাদের ক্যামেরা বন্ধ করা উচিত।’ ঠিক তখনই আদর উঠে এসে উপস্থাপককে কয়েকবার চড় মারেন। এমনকি তাকে ক্যামেরার সামনে টেনে এনে লাথি মারেন। আর এতেই আরো সন্দেহ বাড়ে দর্শকদের।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে পরিচালক সৈকত নাসির বলেন, ‘আমরা কোনো টকশোতে অংশ নিইনি। ভিডিওতে লেখা টকশো। সেটাই তো আমি বুঝতে পারছি না।’ কিন্তু ঘটনা তো ঘটেছে। এটা কিসেরÑ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে প্রেস শো করে আমরা বলব। তখন ক্লিয়ার হবে। সিনেমা দেখলেই বোঝা যাবে।
কিন্তু আপনারা তো কোনো একটা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন; আর সিনেমায় তো আপনিও নেই- এমন প্রসঙ্গ তোলা হলে সৈকত বলেন, ‘‘আমার সিনেমার ভেতরে এমন সিন আছে। গল্পটাও এমন। এটাই ক্লিয়ার করব। আমরা ‘মেকিং অব তালাশ’ তৈরি করছিলাম। সেটারই দৃশ্য। এটা আমরা ১৫ তারিখ প্রকাশিত করব।
এদিকে, প্রচারের জন্য এমন মারামারি, শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন অনেক চলচ্চিত্র সমালোচক। ফেসবুকেও চলছে এর সমালোচনা।