logo
আপডেট : ১২ জুন, ২০২২ ১৮:৩২
ছন্দে ফেরার লড়াইয়ে তাসকিন ও শরিফুল
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছন্দে ফেরার লড়াইয়ে তাসকিন ও শরিফুল

চোটের কারণে শেষ কিছুদিন বেশ ভুগেছে বাংলাদেশ। পেসার তাসকিন আহমেদকে কাঁধের চোটের কারণে সবশেষ শ্রীলংকা সিরিজে পায়নি দল। এরপর শরিফুল ইসলামকেও সিরিজের প্রথম টেস্টে হারায় কবজির চোটের কারণে। যে কারণে আগামী ১৬ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজে নেই দু’জনে। তবে সীমিত ওভারের সিরিজকে সামনে রেখে দু’জনই নেমে পড়েছেন ছন্দে ফেরার লড়াইয়ে।

শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে কবজিতে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। সেই চোট কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ফেরা হচ্ছে না তার। তবে সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। চোট থেকে ফিরে গতকাল নেটে সময় দিয়েছেন শরিফুল। শুরু করেছেন বোলিং। তিনি জানান, ‘আমি বোলিং শুরু করেছি। ৬০-৭০ শতাংশ তীব্রতা নিয়ে ছয় ওভারের মতো বল করেছি।’

ফিরতে কয় দিন সময় লাগতে পারে, সেটাও জানালেন তিনি। বললেন, ‘আশা করছি এক সপ্তাহ কিংবা তার একটু বেশি সময়ের মধ্যে আমি ভালোভাবে বোলিং করতে পারব।’ শরিফুল এখন বোলিং শুরু করলেও তাসকিন শুরু করেছেন আরো দিন দশেক আগে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাওয়া কাঁধের চোটের কারণে শ্রীলংকার বিপক্ষে হোম সিরিজে ছিলেন না তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও নেই টেস্টে। এই সময়ে তিনি আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়।

তিনি বলেন, ‘এক দিন চার ওভার করে বল করছি আমি, পরের দিন করছি আট ওভার। ফিজিওর নির্দেশনা মেনে চলছি, যেন সাদা বলের সিরিজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে পারি।’

উইন্ডিজ সফরের আগেই পূর্ণ ছন্দে ফেরার আশা তার। বললেন, ‘এখন আমি কোনো ব্যথা অনুভব করছি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই আমি আশা করছি পুরো রিদম ফিরে পাব।’ টিম ম্যানেজমেন্ট তাসকিনকে টি-টোয়েন্টির জন্য বিবেচনায় রেখেছে। আগামী ২৩ জুন টুরিস্ট ফ্লাইটে বাংলাদেশ ছাড়ার কথা তার। এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন বলেন, ‘স্কোয়াড যখন আমরা প্রকাশ করছি, তখনই আমরা বলেছিলাম, তাসকিন টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডে আছে সেটা ফিটনেস সাপেক্ষে, স্বাভাবিকভাবে ফিটনেস ফিরে পেলে তাকে টি-টোয়েন্টিতে খেলানো হবে।’

বাংলাদেশ দল ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের লড়াই। আগামী ১৬-২০ জুন অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল। এরপর ২৪ থেকে ২৮ জুন সেন্ট লুসিয়ায় হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এরপর হবে টি-টোয়েন্টির লড়াই। আগামী ২, ৩ ও ৭ জুলাই হবে ম্যাচগুলো, প্রথম দুই ম্যাচ ডমিনিকা ও শেষ ম্যাচটা হবে গায়ানায়। এরপর সেখানেই আগামী ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই তিনটি ওয়ানডে খেলবে দুই দল।