উয়েফা নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে। গত সোমবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হার তাদের বিদায় নিশ্চিত করেছে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে ফ্রান্স নিজেদের মাঠের খেলায় ক্রোয়েশিয়ার কাছে ০-১ গোলে হেরে যায়। টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় হার। চার ম্যাচের দুটি জয় ও দুটিতে ড্রর ফলে তাদের পয়েন্ট মাত্র দুই। চার ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রুপ-১-এর তলানিতে রয়েছে।
ফ্রান্সের আরো দুটি ম্যাচ বাকি থাকলেও তাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। একইসঙ্গে শেষ চারে বা সেমিফাইনালে খেলারও সম্ভাবনা নেই। গ্রুপে বর্তমানে ৪ খেলা থেকে ডেনমার্ক ৯ পয়েন্ট নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সমান ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। আর অস্ট্রিয়া ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে ডেনমার্ক ২-০ গোলে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লুকা মডরিচ। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই তার করা গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ইব্রাহিম কোনাতে ক্রোয়েশিয়ার আন্তে বুদিমিরকে অবৈধভাবে বাধা দেওয়ায় ক্রোয়েশিয়া পেনাল্টি পায়। গোলের এ সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে মোটেও দ্বিধা করেননি মডরিচ। জাতীয় দলের হয়ে এটা ছিল মডরিচের ২২তম গোল।
ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেলায় ফিরতে পারেনি। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম অবশ্য এ ম্যাচে তার সেরা একাদশ মাঠে নামাননি। একাধিক নিয়মিত খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছিলেন। মূলত দেশম এ টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচেই তার সেরা একাদশ মাঠে নামাননি। তারপরও মাঠে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। দুটি সুযোগও তিনি পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। বরং ১৭ মিনিটে ফ্রান্সের আরো এক গোল হজমের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে দেশম দুটি পরিবর্তন আনেন, তবে এতে করেও খেলার ফলে কোনো পরিবর্তন আসেনি। কোনো গোলের দেখা পায়নি। ফ্রান্স তাদের আগের ২৩ ম্যাচে কখনো হেরেছে, কখনো বা ড্র করেছে তবে প্রতি ম্যাচে তারা গোলের দেখা পেয়েছে। এই প্রথম গত ২৩ ম্যাচে তারা কোনো গোল করতে পারেনি। ম্যাচ শেষে দেশম বলেন, ‘খেলার ফলের দিক থেকে জুন মাসটা খুবই কঠিন ছিল। আমাদের শক্তির অভাব ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলগুলোর তা ছিল না। আসলে যখন খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়, তখন এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে।