logo
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২২ ১৭:৫০
করোনা কমায় কমেছে থোক বরাদ্দ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা কমায় কমেছে থোক বরাদ্দ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনার সংক্রমণ কমায় এবার কমেছে স্বাস্থ্যখাতের থোক বরাদ্দ। এই অর্থবছরে গত অর্থবছরের মত বা তার চেয়ে বেশি বরাদ্দ হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, করোনার কারণে অনেক কাজ গত বছর করতে পারিনি, এবার তা করতে চাই।

‘কেমন হলো স্বাস্থ্যবাজেট ২০২২-২৩’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

বুধবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক হাসান সোহেল, জান্নতুল বাকেয়া কেকা, লাবনী গুহ, সেবিকা দেবনাথ, জিনিয়া কবীর সূচনা, বায়েজীদ মুন্সি, তাওসিয়া তাজমিম, মাহমুদ কমল, হাসান মেসবাহ প্রমুখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্বাস্থ্য খাতে থোক বরাদ্দ এবার কমেছে। করোনা প্রতিরোধে  হেলথের ব্লক ফান্ড গত বছর দশ হাজার কোটি টাকা ছিল। এবার কমিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। মোট হেলথের বাজেটের আকার ৪০ হাজার কোটি টাকা হবে। কারণ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও হেলথের কাজের সাথে  সংশ্লিষ্ট।

অন্যান্য মন্ত্রণালযের চেয়ে বাজেট ইমপ্রিমেন্টেশনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পিছিয়ে বলে স্বীকার করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেক সময় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজের সমন্বয় করায় সময় বেশি লাগে। এর ফলে বাজেটের কিছুটা অংশ অব্যবহিত থেকে যায়। প্রতিটি ক্রয় কার্যক্রমে আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় নিতে হয়। এতে সময় লাগে। আমাদের প্রক্রিয়াগুলো লম্বা। ঠিকাদার নিয়োগসহ নানা কারণে সময় বেশি লাগে। অনেক সময় টিকাদাররা কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও কমার সাথে কাজের সময় নির্ভর করে।

অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও দেশে টিকা উৎপাদনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, যাতে টিকা প্রয়োজন হলে দেশেই পাওয়া যায়।