logo
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২২ ১৯:০৬
এক লক্ষ টাকা দেশে পাঠালে আরো আড়াই হাজার টাকা প্রণোদনা
শুধু সৌদি প্রবাসীরাই পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

শুধু সৌদি প্রবাসীরাই পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার

ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, সেসময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, সারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সারা বিশ্বের ন্যায় আমরাও আজ এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশের চাহিদা মেটাতে আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স।

চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো প্রায় ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে শুধু সৌদি আরব প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার। দেশের অর্থনীতিতে আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রবাসীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

বুধবার (১৫ জুন ) এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের এই রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে সরকার ইতিপূর্বে রেমিট্যান্স এর ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে, যা বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রবাসী যে কেউ এখন থেকে এক লক্ষ টাকা দেশে পাঠালে সাথে আরো দুই হাজার পাঁচশত টাকা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন। ইতিপূর্বে ৫ লক্ষের অধিক টাকা প্রেরণ করলে প্রণোদনার টাকা পেতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল, কিন্তু বর্তমানে যেকোনো অংকের টাকা প্রেরণ করা হোক না কেন, কোন কাগজপত্র জমা দেয়া ছাড়াই প্রণোদনার টাকা ব্যাংকে জমা হয়ে যাবে।

বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা ডলার রিজার্ভে জমা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে দেশের আমদানি ব্যয় ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো হয়। দেশের অর্থনীতি গতিশীল ও শক্তিশালী হয়।

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীর পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে প্রবাসীর অবদান নিশ্চিত হয়। এছাড়া দেশে আপনার আয় বৈধ বলে বিবেচিত হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো ও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরী। তাই দেশের এ প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে অর্থ প্রেরণের জন্য আপনাদের আহবান জানাচ্ছি।