logo
আপডেট : ১৬ জুন, ২০২২ ১৫:১৭
তামাকের কর বৃদ্ধির দাবিতে কাফনের কাপড় পরে কর্মসূচি
ঢাবি প্রতিনিধি

তামাকের কর বৃদ্ধির দাবিতে কাফনের কাপড় পরে কর্মসূচি

তামাকজাত পণ্যে কর বৃদ্ধি এবং তামাক কোম্পানিতে সরকারি শেয়ার প্রত্যাহারের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল ১১ টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘‘লাশের সারি আর কত বড় হলে, তামাকের কর বাড়বে?”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।

এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে অকাল মৃত্যুর এবং প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। তামাকের ভয়াবহতা বিবেচনায় সরকার এর ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিতে সরকারের বিদ্যমান শেয়ার থাকার কারণে এখনো অবধি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের ফলে তামাকজাত পণ্যের মূল্য ও কর আশানুরূপ বৃদ্ধি পায়নি। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এটি বড় অন্তরায়।

তারা আরো বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধি করে পণ্যের ক্রয়মূল্য ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার উর্ধ্বে নিয়ে যাওয়া বিশ্বব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য পন্থা বলে বিবেচিত। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে কর বৃদ্ধির এই দাবির কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। উপর্যুপরি, প্রস্তাবিত এ বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের সামান্য মূল্য বৃদ্ধির পরেও ক্রয়মূল্য আদতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থেকে গেছে।

এছাড়া বাংলাদেশে খুচরা শলাকা সিগারেট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বিধিনিষেধ না থাকায় এই মূল্য বৃদ্ধি ভোক্তার উপর কোন প্রভাব  ফেলবেনা এবং সরকারের রাজস্ব আয় একপ্রকার অপরিবর্তিতই থাকবে। সকল মূল্যস্তরের সিগারেটে অভিন্ন করভার (খুচরা মূল্যের ৬৫%) নির্ধারণসহ সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কের প্রচলনের দাবি ও কর আদায়ে আধুনিকায়ন পদ্ধতি প্রচলনের দাবি এবারের বাজেটেও অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্য ও ফিল্টারবিহীন বিড়ির মূল্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর ফলে সরকার হারাবে বিশাল অংকের রাজস্ব এবং ফুলে ফেঁপে উঠবে কোম্পানির লভ্যাংশ।

এমতাবস্থায় তারা তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার ও তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।    

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্র্যাটিজিসের কান্ট্রি ম্যানেজার নাসির উদ্দীন শেখ, নাটাবের প্রকল্প সমন্বয়কারী খলিল উল্লাহ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা ও প্রকল্প কর্মকর্তা আবু নাসের অনিক, তাবিনাজের সদস্য রোকেয়া বেগম, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রকল্প কর্মকর্তা অদূত রহমান ইমন, বিইআরের প্রকল্প কর্মকতা ইব্রাহীম খলিল, মানসের প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান, স্কোপের নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন, ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান শফিউল আযম, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সের নির্বাহী পরিচালক শামীমা সুলতানা, নারায়নগঞ্জ নারী কল্যান সংস্থার সভাপতি রহিমা আক্তার লিজা, নবনীতা মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক আতিকা হোসেন, একটিভ সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান তানভির হোসেন খান, শীল্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুব আলম ফিরোজ, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের কর্মকর্তাবৃন্দ।