২০২১-২২ অর্থবছরে ১৯টি সিনেমাকে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার (১৫ জুন) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিনেমার নাম, পরিচালক ও প্রযোজকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একটি সিনেমার জন্য তারা কত টাকা করে পাবেন সেটাও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। এবারে মোট ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ১৯টি সিনেমায় বিনিয়োগ করছে সরকার।
অনুদান পাওয়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমাগুলো হলো-
‘জয় বাংলার ধ্বনি’: প্রযোজক ও পরিচালক মো. খোরশেদুল আলম খন্দকার (খ. ম. খুরশীদ), ৬০ লাখ টাকা।
‘একাত্তর-করতলে ছিন্নমাথা’: প্রযোজক ও পরিচালক রফিকুল আনোয়ার (রাসেল), ৬০ লাখ টাকা।
এছাড়া সাধারণ শাখায় যারা অনুদান পেয়েছেন-
‘যুদ্ধজীবন’: প্রযোজক ও পরিচালক রিফাত মোস্তফা, ৬৫ লাখ টাকা।
‘যাপিত জীবন’: প্রযোজক ও পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ৬০ লাখ টাকা।
‘বনলতা সেন’: প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, ৭০ লাখ টাকা।
‘অতঃপর রোকেয়া’: প্রযোজক ও পরিচালক মিস শামীম আখতার, ৬০ লাখ টাকা।
‘১৯৬৯’: প্রযোজক মাহজাবিন রেজা চৌধুরী ও পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী, ৭৫ লাখ টাকা।
‘বঙ্গবন্ধুর রেণু’: প্রযোজক ও পরিচালক মারুফা আক্তার পপি, ৭০ লাখ টাকা।
‘ডোডো’র গল্প’ (Story of Dodo): প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া, পরিচালক রেজা ঘটক, ৬০ লাখ টাকা।
‘বকুল কথা’: প্রযোজক সঞ্জিত কুমার সরকার, পরিচালক মাসুদ মহিউদ্দিন ও মাহমুদুল হাসান শিকদার, ৭০ লাখ টাকা।
‘আর্জি’: প্রযোজক ও পরিচালক কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া, ৬০ লাখ টাকা।
‘এই তো জীবন’: প্রযোজক ও পরিচালক সৈয়দ আলী হায়দার রিজভী, ৭০ লাখ টাকা।
‘আহারে জীবন’: প্রযোজক ও পরিচালক সৈয়দ উদ্দিন আহমেদ ওরফে ছটকু আহমেদ, ৬০ লাখ টাকা।
‘অন্তরখোলা’: প্রযোজক সারা যাকের, পরিচালক রতন কুমার পাল, ৬০ লাখ টাকা।
‘ভাষার জন্য মমতাজ’: প্রযোজক ও পরিচালক সরোয়ার তমিজউদ্দিন, ৬০ লাখ টাকা।
‘লাল শাড়ি’: প্রযোজক অপু বিশ্বাস, পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস, ৬৫ লাখ টাকা।
‘বিচারালয়’: প্রযোজক ও পরিচালক শরাফ আহমেদ জীবন, ৬৫ লাখ টাকা।
‘মায়া’: প্রযোজক শাকিব খান রানা, পরিচালক হিমেল আশরাফ, ৬৫ লাখ টাকা।
‘মুক্তির ছোটগল্প’: প্রযোজক মো. দৌলত হোসাইন, পরিচালক মাসউদ যাকারিয়া চৌধুরী ও আব্দুস সামাদ খোকন, ৬০ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত, ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি এ অনুদান চালু করা হয়। মাঝে কয়েক বছর বাদে প্রতিবছরই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নাম প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।