logo
আপডেট : ১৬ জুন, ২০২২ ১৭:১৬
ডিজিটাল ডিভাইস পণ্যের ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল ডিভাইস পণ্যের ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি

ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ও ডিজিটাল ডিভাইস পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত বাজেটে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি মানববন্ধন করে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সাল থেকে সারাদেশে উন্নত নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় ইতোমধ্যে ট্রায়াল পর্যায়ে ৫-জি উদ্বোধন করেছে।

কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবায় ১০ শতাংশ নতুন কর, সাথে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলে ১০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। এটি প্রান্তিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। একইসঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, ট্যাবের দাম কমিয়ে মানসম্পন্ন ডিভাইস শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষদের মাঝে সরবরাহ করা। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং মোবাইলের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। যার কারণ এগুলো জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

দেশীয় পণ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান হলেও এর সুফল দেশের জনগণ খুব একটা ভোগ করে না। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোয়ালিটি অব সার্ভিস থেকে বাদ পড়া ডিভাইসগুলো দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি করা হয়। আবার মূল্য যে একেবারে কম, তাও বলা যাবে না। এর পাশাপাশি ব্যাটারি চার্জারসহ অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রেও কর বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মানববন্ধনে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার আইএসপিআইবি সভাপতি এমদাদুল হক সংহতি জানিয়ে বলেন, আমরা গ্রাহকদের এ দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রান্তিক পর্যায়ে কম মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে যে কর আরোপ করা হয়েছে, তার কারণে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও প্রান্তিক পর্যায়ে কমদামে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া কষ্টের হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে যাবেন।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সাহেদা বেগম, স্বপন, শেখ ফরিদ, শাজাহান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এমাদুল হক রানা, নাগরিক ভাবনার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জুলহাস নাইম, ক্যাবের কোষাধ্যক্ষসহ প্রমুখ।