চূড়ান্ত হয়ে গেছে কাতার বিশ^কাপের ৩২ দল, নির্ধারিত হয়ে গেছে পূর্ণাঙ্গ সূচি। মাঠের লড়াই শুরুর এখনো বাকি প্রায় ৫ মাস। তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে মাঠের বাইরের নানান লড়াই। ফাইনালে উঠতে প্রিয় দলের সামনে পড়বে কোন কোন দল ভক্ত-সমর্থকরা হিসাব কষতে শুরু করে দিয়েছেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ফাইনালে ওঠার পথে কোন কোন দলের মুখোমুখি হতে পারে ব্রাজিল।
শেষ ষোলো : কাতার বিশ^কাপে ‘জি’ গ্রুপে রয়েছে ব্রাজিল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া ও ক্যামেরুন। এই গ্রুপ থেকে ব্রাজিলের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে শেষ ষোলোয় তাদের লড়তে হবে ‘এইচ’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের সঙ্গে। ‘এইচ’ গ্রুপের রয়েছে পর্তুগাল, উরুগুয়ে, ঘানা ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই গ্রুপ থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যার মানে দাঁড়ায় শেষ ষোলোয় ব্রাজিলের সামনে পড়বে ‘এইচ’ গ্রুপের রানার্সআপ দল উরুগুয়ে। দুই লাতিন আমেরিকান দলের লড়াইয়ে ব্রাজিলই থাকবে পরিষ্কার ফেভারিট।
কোয়ার্টার ফাইনাল : উরুগুয়েকে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট পেলে ব্রাজিলকে খেলতে হবে ৫৩ নম্বর ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে। আর ৫৩ নম্বর ম্যাচে খেলবে ‘ই’ গ্রুপের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও ‘এফ’ গ্রুপের রানার্সআপ দল ক্রোয়েশিয়া। পরে এই দুই দল মুখোমুখি হবে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে। স্বাভাবিকভাবেই জার্মানি-ক্রোয়েশিয়ার লড়াইয়ে বাজির দান থাকবে চারবারের বিশ^চ্যাম্পিয়ন জার্মানির পক্ষে। এমনটা হলে কোয়ার্টার ফাইনালেই ইউরোপের পরাশক্তি জার্মানির মুখোমুখি হতে হবে ব্রাজিলকে। যাদের বিপক্ষে ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে ধরাশায়ী হয়েছিল সেলেসাওরা।
সেমিফাইনাল : কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানিকে পরাস্ত করে সেমিতে উঠলে ৫৭ নম্বর ম্যাচের জয়ী দল হিসেবে ব্রাজিলকে খেলতে হবে ৫৮ নম্বর ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে। আর ফিফার সমীকরণ মেনে ৫৮ নম্বর ম্যাচে জয়ী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের। অর্থাৎ সবকিছু এ সম্ভাবনা ধরে এগোলে কাতার বিশ^কাপের সেমিফাইনালের মুখোমুখি হবে বিশে^র দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এই সুপার ক্লাসিকো ম্যাচ জিতেই নিজেদের ষষ্ঠ বিশ^কাপ শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে যেতে হবে ব্রাজিলকে।
ফাইনাল : সেমিফাইনালের কঠিন লড়াইয়ে উতরে গেলে ২০০২ সালের পর আবার ফাইনালের টিকিট পাবে ব্রাজিল। সেক্ষেত্রে তাদের সামনে পড়বে অন্য সেমিফাইনাল জয়ী দল। ফিফার সমীকরণের হিসেবে সেই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। পরে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বেলজিয়ামকে হারাতে পারলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালের টিকিট পাবে ফ্রান্স। অন্যথায় বেলজিয়াম পাবে শিরোপা জেতার সুবর্ণ সুযোগ। অর্থাৎ সম্ভাব্য সমীকরণ সব ঠিক থাকলে শিরোপার লড়াইয়ে ফ্রান্স অথবা বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।