logo
আপডেট : ১৮ জুন, ২০২২ ১৩:০০
এ সময় চামড়ার ব্যাগের যত্ন
ইসমত জেরিন

এ সময় চামড়ার ব্যাগের যত্ন

বৃষ্টির দিনে স্যাঁতসেঁতে, আর্দ্র বাতাসে সাধের চামড়ার জুতা আর ব্যাগের অবস্থা খুবই খারাপ হয়। বিশেষ করে ভিজে যাওয়ার পর। ড্রায়ার দিয়ে বা রোদে স্যাঁতসেঁতে চামড়া শুকিয়ে নিলে তা খুব কড়া হয়ে যায়। আবার না শুকনো হলে বিচ্ছিরি গন্ধ বের হয়। ফাঙ্গাস ধরে যায়। এই পরিস্থিতিতে সেগুলোর যত্ন নেওয়ার আদর্শ পদ্ধতি কী হতে পারে? ফেমিনা ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। চলুন দেখে নেই।


কড়া রোদে বা ড্রায়ার দিয়ে চামড়ার পণ্য শুকাবেন না


বাইরে থেকে তাপ দিলে চামড়ার নিজস্ব তেলের আস্তর শুকাতে আরম্ভ করবে। ফলে ব্যাগ অথবা জুতা শক্ত হয়ে যাবে। বাইরের স্তরে ফাটলও দেখা দিতে পারে। তার চেয়ে সারা রাত ফ্যানের নিচে রেখে দিন। খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপার পুরে দিন ব্যাগ-জুতার মধ্যে। সেগুলো বাড়তি পানি শুষে নেবে।

বৃষ্টির পানিতে না ভিজলেও আর্দ্রতায় আমাদের পা ঘামে, সেই ঘামেও জুতার মধ্যে স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা দেয়। কখনো কখনো বাজে গন্ধ হয়। ফলে নিয়মিত খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপার দিয়ে জুতার বাড়তি আর্দ্রতা শুষে না নিলেও ফাঙ্গাস ধরতে পারে। সম্ভব হলে একই জুতা-ব্যাগ প্রতিদিন ব্যবহার করবেন না।

খবরের কাগজ অথবা টিস্যু পেপার দিয়ে শুকনো করে নেওয়ার পরে সামান্য ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিলে সেটির মধ্যকার সব আর্দ্রতা চলে যাবে। আজকাল নানা ধরনের ফুট স্প্রে বেরিয়েছে, সেগুলো পায়ে লাগালে দুর্গন্ধ হয় না বলে দাবি করা হয়। তেমন কিছুও ট্রাই করতে পারেন।

পরিষ্কার রাখুন চামড়ার পণ্য


বাড়ি ফিরেই জুতা ও ব্যাগ ক্যাবিনেটে তুলে দেবেন না। খুটিয়ে দেখে নিন কোনো ময়লা লেগে আছে কি না। পুরোনো টুথব্রাশ আর সামান্য সাবান পানি দিয়ে সেটা পরিষ্কার করুন আগে। তারপর শুকিয়ে তবেই ক্যাবিনেটে তুলুন। নিয়মিত পালিশ করে নিলে চামড়ার জিনিস বেশিদিন ভালো থাকে।

তা আর্দ্রতা থেকে বাঁচাবে, চামড়ার তেলের ব্যালেন্স বজায় রাখবে এবং জিনিসটি দীর্ঘদিন ঝকঝকে, উজ্জ্বল থাকবে। যেদিন ময়লা হবে, সেদিনই পরিষ্কার করে নেওয়াটাও খুব জরুরি। তা না হলে পরে পরিষ্কার করা মুশকিল হতে পারে। শুকনো ব্রাশ দিয়ে মাঝে মাঝে ঝেড়ে নিলেও ধুলো চেপে বসতে পারে না।

 

শুকনো কাপড়ে মুড়ে রাখুন


আপনার জুতা ও ব্যাগের স্টোরেজ স্পেসটা কি কাঠের তৈরি? তা হলে কিন্তু এই দিনে ফাঙ্গাস বা পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সেগুলোকে সুতির কাপড় কিংবা শাড়িতে মুড়িয়ে স্টোর করুন।