logo
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২২ ১৭:১৫
আমাজন জঙ্গলে নিখোঁজ সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার

আমাজন জঙ্গলে নিখোঁজ সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার

ব্রিটিশ সাংবাদিক ডম ফিলিপস

গত ৫ জুন আমাজনের গভীর জঙ্গলে নিখোঁজ হন ব্রিটিশ সাংবাদিক ডম ফিলিপস (৫৭)। এই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলের পুলিশ।

ফিলিপস ও তার সঙ্গী ব্রাজিলের জনজাতি বিশেষজ্ঞ ব্রুনো পেরেরা (৪১) একসাথে গত ৫ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গত বুধবার আটক এক সন্দেহভাজনকে জেরা করে জঙ্গলের তিন কিলোমিটার গভীর থেকে দুটি দেহাবশেষ এবং ফিলিপস ও পেরেরার জিনিসপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না-তদন্তে ওই দেহাবশেষের একটির দাঁতের গঠন মিলে গিয়েছে ফিলিপসের সঙ্গে। তারপরেই নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

তবে অন্য দেহাবশেষটি পেরেরার কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে অন্তত চার জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

গত ৫ জুন থেকে আমাজানের গভীর জঙ্গলে নিখোঁজ ‌ছিলেন ফিলিপস ও পেরেরা। পেরুর সীমান্তবর্তী ব্রাজিলের জাভারি উপত্যকার কোনো এক নদীতে নৌকা নিয়ে গিয়েছিলেন তারা। তারপর আর কোনো খবর মেলেনি।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক সন্দেহভাজনের নাম আমারিলদো দা কস্তা ডি অলিভেরা ওরফে পেলাদো, পেশায় মৎস্যজীবী। আমাজানের গভীরে বেআইনিভাবে মাছ ধরার কারবার চালাচ্ছিল সে। এর প্রতিবাদ করেন ডম ও ব্রুনো। প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই ওই দুজনকে খুন করার কথা পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে পেলাদো।

জানা গেছে, আমাজান জঙ্গল নিয়ে একটি বই লেখার কাজ করছিলেন সাংবাদিক ডম ফিলিপস। সেই গবেষণাতেই ব্রুনোকে সঙ্গী করে পাড়ি দিয়েছিলেন জঙ্গলে। কিন্তু তার গবেষণা ক্ষেত্রটি প্রকৃতপক্ষে চোরাই কাঠ পাচারকারী, চোরাশিকারি, অবৈধ সোনা খনন, বিশেষ করে মাদক পাচারকারিদের স্বর্গরাজ্য। ফলে, ফিলিপসদের সেখানে আনাগোনা ভালো চোখে দেখেনি অনেকেই। এমনকি ফিলিপসের কাছে হুমকি দিয়ে ফোনও এসেছিল বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।