খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত আলোচিত গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তহামিলুর রহমানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের প্রমান পাওয়া মামলার অনুমোদ দিয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেমাবার (২০ জুন) সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদনের খবর নিশ্চিত করেছেন- দদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
উল্লেখ্য, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থায় ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। অর্থপাচার, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, রাজস্ব ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানিয়েছে, ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে ২০০৪ সালে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে নেওয়া ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের কোম্পানির ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ৬ জন এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি তহামিলুর রহমানসহ ১৫ জনকে আসামি করা হতেপারে। সিগগিরই দুদকের একজন উপ-পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা মামলাটি রুজু করবেন।
মামলায় আসামিরা হলেন মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুণ অর রশীদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, পরিচালক জি আর চৌধুরী ওরফে গোলাম রব্বানী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন মিয়া, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ওরফে আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও রাজিব সিরাজ।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের- সাবেক এমডি মুহাম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমানুল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ও শফিকুর রহমান, উপ-সহব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোশারফ আলী, মো. কামরুল ইসলাম ও আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আলী আরশাদ ও মো. আবু মুসা, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আতিকুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ ও এস এম এম আওলাদ হোসেন এবং সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক।
দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অনুসন্ধানে ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ পাওয়া যায়নি। ঋণ হিসাবে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য দায়ী সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকজন বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। অনেক আবার বিদেশে পলাতক।