হটাত বন্যায় তিনদিন যাবত নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়া সুনামগঞ্জ এবং সিলেট বাসিরা নেটওয়ার্ক ফিরে প্রতে শুরু করেছে। নেটওয়ার্ক পেতে  বন্যাদুর্গত তিন জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৬০টি মোবাইল টাওয়ার সচল করতে পেরেছে অপারেটরগুলো। রোববার থেকে সে সব অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সচল হতে শুরু করেছে এমন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিটিআরসির মনিটরিংয়ে চার মোবাইল অপারেটরের কর্মীরা বন্যাদুর্গত এসব এলাকায় সাইট চালু করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রবল ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোণার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এসব জেলার অধিকাংশ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষজন।

তিন জেলায় চার মোবাইল অপারেটরদের মোট ২ হাজার ৫২৮ সাইট রয়েছে। বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অবস্থিত অনেক সাইট বা টাওয়ার বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উক্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

বিটিআরসি জানায়, মোবাইল অপারেটরদের প্রচেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৬০টি সাইট পুনরায় সচল করা হয়। বর্তমানে সকল অপারেটরদের ১ হাজার ৭২টি সাইটে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে রয়েছে।

এসব সাইট সচল করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় কমিশন।

বিটিআরসি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বন্যার কারণে শনিবার সিলেট জেলার বিটিসিএল এর নেটওয়ার্ক ডাউন ছিল। রোববার নেটওয়ার্কটি সচল করা হয়েছে, কিন্তু ইন্টারকানেকশনে এখনও সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এটি সমাধানেও বিটিসিএল কাজ করে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জে বিটিসিএল এর নেটওয়ার্ক ডাউন রয়েছে।

সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায়, সুনামগঞ্জে পোর্টেবল জেনারেটর নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। তবে সে সড়কে আজ থেকে বন্যার পানি একটু করে কমতে শুরু করেছে এবং বন্যার পানি কমে গেলে পোর্টেবল জেনারেটর নিয়ে সুনামগঞ্জে বিটিসিএল এর নেটওয়ার্ক সচল করা হবে বলেও জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।