সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পর শ্রাবণ মাসে দেশের মধ্যাঞ্চল এবং শ্রাবণের শেষ থেকে ভাদ্র মাসে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিলেট সার্কিট হাউসে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক অবস্থা দেখে প্রায় এক মাস আগেই আন্দাজ করেছিলেন বড় ধরনের বন্যা হতে পারে।
এক মাস আগেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, এবার একটা বড় বন্যা আসবে, সবাই প্রস্তুতি নেন।
তিনি বলেন, ‘১০-১২ বছর পর পর এরকম একটা বড় বন্যা আসে। উদাহরণ হিসেবে ১৯৮৮ সালের ও ৯৮ সালের বন্য়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পানি নামতে নামতে মধ্যাঞ্চলে যাবে। আমরা যারা দক্ষিণাঞ্চলে, আমরা পাবো আরো পরে। কাজেই এটা আমাদের চিরাচরিত একটা নিয়ম।’
তিনি বলেন, ‘মাসের হিসেব করেই বলা যায়। এটা এখন হলো আষাঢ় মাস, এটা নামতে নামতে মধ্যাঞ্চলে যাবে; শ্রাবণ মাসে। শ্রাবণের শেষ থেকে ভাদ্র- এটা হবে দক্ষিণাঞ্চলে; মানে আমাদের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর থেকে শুরু করে ওই অঞ্চল প্লাবিত হবে। এটা ওই ভাবেই হয়। সেজন্য প্রস্তুতিটা আমাদের রাখতে হবে।’
বন্যাদুর্গতদের খোঁজ নিতে মঙ্গলবার সিলেটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০ টার দিকে হেলিকপ্টারে করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে যান সার্কিট হাউসে।
সেখানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন। সেই সাথে বন্যা পরিস্থিতিতে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে সকলকে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী । সার্কিট হাউসে বৈঠকের পর হযরত শাহজালাল (রহ:) এর মাজার জিয়ারতে যান তিনি।