ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা ফোবানার বিলুপ্ত কমিটির চেয়ারম্যান রেহান রেজা ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরীকে সাংগঠনিক অপকর্মের জন্য আজীবনের জন্য ফোবানা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান এম মাওলা দিলু ও জয়েন্ট সেক্রেটারি নাহিদুল খান সাহেলকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ৫ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ফোবানা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ফোবানার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম এজিএমের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এবং গত ১৩ জুন সোমবার এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। একই সভায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শিকাগোতে অনুষ্ঠিতব্য ৩৬তম ফোবানা সম্মেলন বাতিল ঘোষণা করে লস এঞ্জেলেসে সম্মেলনটি আয়োজনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান রেহান রেজার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৯ সালে সব চেয়ারম্যানের মতামত ও অনুরোধ উপেক্ষা করে ফোবানার ভিতর বিভক্তির সৃষ্টি, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধে গত বছর মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সম্মেলন বানচালের ষড়যন্ত্র, সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিষোদগার, ফোবানার কার্যক্রম পরিচলানায় বাধা প্রদান, ফোবানাকে দুই ভাগ করার প্রকাশ্য ঘোষণা, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা গিয়ে ফোবানার নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, আদম ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।
বিলুপ্ত করা এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগসমূহের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে সাজাভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এই তথ্য গোপন করে ফোবানার ট্রেজারার ও সেক্রেটারি পদে নির্বাচন করা, ফোবানার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানসহ অধিকাংশ সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে অপমান-অপদস্থ করা, ফোবানার নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ের তথ্য ফাঁস করা- যা অসাংগঠনিক ও সংবিধান পরিপন্থী।
বিলুপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান এম মওলা দিলুর বিরুদ্ধে আনীত ও প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন সভায় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নাম ধরে কটূক্তি করা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সাব-কমিটির কর্মকর্তাদের অসাংগঠনিক পন্থায় এককভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি জানিয়ে সাধারণ সদস্যদের কাছে ইমেইল প্রদানসহ নানা অপপ্রচারের অভিযোগে ভাইস চেয়ারম্যান দিলু মাওলাকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিলুপ্ত জয়েন্ট এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি নাহিদুল খান সাহেলের বিরুদ্ধে আনীত ও প্রমাণিত অভিযোগসমূহের মধ্যে রয়েছে ২০২১ সালের ফোবানা সম্মেলনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ পালনে বাধা প্রদান, কোনো সংগঠন না থাকা সত্ত্বে¡ও অর্থের বিনিময়ে ২০১৮ সালে ফোবানা সম্মেলনের সদস্য সচিব হয়ে আজ অবধি ফোবানায় সংযুক্ত থাকা ও মেম্বারশিপ কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বৈধ সংগঠনগুলোকে ফোবানা থেকে বাদ দেওয়ার হুমকিতে নাহিদুল খান সাহেলকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
সংপঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফোবানা নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই। আইনগত ও সাংগঠনিকভাবে আতিকুর রহমান ও ড. রফিক খানের নেতৃত্বাধীন ফোবানাই হচ্ছে ফোবানার মূল সংগঠন। ফোবানা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ৯৫৪-৮১৮-২৯৭০ ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. রফিক খান ২৮১-৪৬০-৯১০১ অথবা fobana.info-এ যোগাযোগ করা যাবে।