logo
আপডেট : ২১ জুন, ২০২২ ২০:০৯
নারায়ণগঞ্জে টানা গ্যাস সংকট, শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যহত
জাহাঙ্গীর মাহমুদ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জে টানা গ্যাস সংকট, শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যহত

টানা পাঁচদিন থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিতাস গ্যাস এন্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে আবাসিক গ্রাহকদের ভোগান্তির পাশাপাশি ও শিল্প কারখানা গুলোর উৎপাদন ব্যহত হাবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সমাধানে অনেকে মাটির তৈরি চুলায় কিংবা গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না করতে হচ্ছে। অনেকে রেস্তোরা থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন। এ বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষকে গ্যাস লিকেজ মেরামতের দায়ি করছে। 

জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার তিতাস গ্যাসের প্রায় ৭ হাজার বৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এছাড়া উপজেলায় তৈরি পোশাক শিল্পের ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক কল-কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে পণ্য উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার রয়েছে এমন কারখানা সংখ্যা অনেক। 

স্থানীয়রা অভিযোগ- গেল শুক্রবার ১৬ জুন থেকে উপজেলার রূপসী, বরপা, তারাব, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চন, শান্তিনগর, কাজীপাড়া, দক্ষিণ রূপসী, মৈকুলী, মুড়াপাড়া, আমলাবোসহ পুরো উপজেলার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, চুলায় কখনও গ্যাস থাকে আবার কখনও থাকেনা। যখন থাকে সেই সময় গ্যাসের চাপ কম থাকায় আগুন নিভু নিভু করে জ্বলে। 

অন্যদিকে গ্যাসের চাপ না থাকায় অনেক শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের আগেই ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এতে কারখানা মালিকদের কোটি কোটি টাকা লোকসানের সম্মূখীন হতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ৫ দিন ধরে গ্যাস না থাকায় কেউ টিন কেটে চুলা বানিয়ে তাতে লাকরি দিয়ে, কেউবা আবার মাটির চুলায় কষ্ট করে রান্না-বান্নার কাজ শেষ করছেন। কিন্তু মাটির চুলায় রান্না করে অনেকেরই আবার কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পরে। কিছু এলাকায় ভোর সকালে নিভু-নিভু গ্যাস থাকলেও তাতে হাড়িও গরম হয়না। অনেকেরই খাওয়া দাওয়া করতে হচ্ছে হোটেলে। ভুলতা এলাকার গৃহিনী রিনা বেগমে জানান, গ্যাস না থাকায় পরিবারের সবার সমস্যা হচ্ছে। রেস্তরোয়ায় খাবার কিনতে আসা সাইদুর রহমানের জানান, গ্যাস না থাকায় বাড়িতে রান্না হয়নি। তাই রেস্তরায় খাবার কিনতে এসেছি। 

কারখানা মালিকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলায় গ্যাসের তীব্র সংকট। এতে উৎপাদন করা যাচ্ছে না। উৎপাদন না হলে সময়মত পণ্যের সরবরাহে সমস্যা দেখা দিবে, এতে শ্রমিকদের বেতন সমস্যা হতে পারে। দ্রুত গ্যাস সংকট সমাধান না হলে উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মূখীন হবো।

এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিজবাহ-উর রহমান মুঠোফোনে বলেন, গত শুক্রবার আদমজী ইপিজেডের পলমল ফ্যাশনের পাইলিং করার সময় গ্যাস পাইপ ফেটে যায়। মেরামত কাজ চলছে। সেখানে কাজ করার সময় ৪০ ফিট নিচে ২৪০ টন ওজনের পাইলিং রিগ ডেবে যায়। যার জন্য মেরামত কাজে সময় বেশি লাগছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।