ফের তাইওয়ানের স্বঘোষিত আকাশ প্রতিরক্ষা জোনের (এডিআইজি) মধ্যে যুদ্ধবিমান পাঠালো চীন। মঙ্গলবার প্রায় ২৯টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের এডিআইজিতে প্রবেশ করে পাল্টা বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট পাঠিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়ে চীনের ২৯টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে ছিল ১৭টি ফাইটার জেট, ছ’টি এইচ-৬ বোমারু বিমান, একটি ইলেক্ট্রোনিক ওয়ারফেয়ার, একটি সাবমেরিন ধ্বংসী ও একটি ট্যাঙ্কার বিমান।
পাল্টা নিজেদের যুদ্ধবিমান পাঠায় তাইওয়ান। একইসঙ্গে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমগুলির উদ্দেশেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয় বলে জানিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১ জুন তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়েছিল ৩০টি চীনা যুদ্ধবিমান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাইওয়ানের আকাশ সুরক্ষা বলয়ে এমনই ৩৯টি যুদ্ধবিমান নিয়ে হানা দিয়েছিল চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’। তার পরেই রয়েছে গতকালের বিমানবাহিনী।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, চীনা গতিবিধির উপরে নজর রাখতে ইতিমধ্যে তাদের বিমানবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের সামরিক ঘাঁটি ও সরঞ্জাম চীনের নিশানায় রয়েছে। দেশটির উপর চাপ তৈরি করতে ও হামলার পরিকল্পনা খতিয়ে দেখতেই এ ধরনের অনুপ্রবেশ করছে চীনা যুদ্ধবিমানগুলি।
এদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা বিমানের গতিবিধি রাডারে ধরা পড়তেই সমস্ত মিসাইল সিস্টেম সক্রিয় করে দেওয়া হয়। দ্রুত পাঠানো হয় যুদ্ধবিমানও।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই একটি চাঞ্চল্যকর অডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দাবি করা হয়, তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা করছে চীন। অডিওতে এ নিয়ে রীতিমতো আলোচনা করতে শোনা গিয়েছে চীনা কমিউনিষ্ট শাসক ও সেনা কর্মকর্তাদের একাংশকে। জাপানে অনুষ্ঠিত কোয়াড বৈঠকের আবহে এক চ্যানেলে ফাঁস হওয়া ওই অডিওকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশ্লেষকদের ধারণা, ওই অডিও ক্লিপটি বিশ্বাসযোগ্য।