পদ্মায় দ্বিতীয় সেতু নির্মাণে আগ্রহী জাপান। পদ্মায় যদি আরেকটি সেতু নির্মাণ হয় তবে সেটিই হবে বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বাস্তবতা। তাই জাপান এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সুযোগ চায়।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি মঙ্গলবার (২১ জুন) নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ এক সময় যে পদ্মায় দ্বিতীয় সেতু করবে সেটিই প্রকৃত বাস্তবতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপান সরকার ও জাইকা এই সরকারের নির্মাণ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বিবেচনার অবস্থানে থাকবে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে এবং এর বাস্তবতার সুফল সবাই ভোগ করবে। পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় একটি চমৎকার মাইলফলক। বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য কি করতে পারে এটি তার বড় প্রমাণ। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, এ মাসে পদ্মা সেতু এবং এ বছরের শেষ নাগাদ মেট্রো রেলসহ বিভিন্ন মানসম্মত অবকাঠামো উদ্বোধনের নজির সৃষ্টির মাধ্যমে ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালে জাপান সফরের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সে সময় তিনি পদ্মা সেতু ও রূপসা সেতুতে সহযোগিতার জন্য জাপানের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। পরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি পদ্মা ও রূপসা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই করে।
জাপান সরকারের আগ্রহ থাকার পরেও জাইকা পদ্মা সেতুর অর্থায়নে সুযোগ পায়নি। তবে, সেতুর সম্ভব্যতা যাচাইয়ে যে অং গ্রহণের সুৃযোগ হয়েছিল এজন্য জাপান গর্ববোধ করে।
ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশে মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ কাজে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকলে জাপান ভাল প্রযুক্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে। জাপান এ পর্যন্ত সারা দেশে ছোট-বড় সব মিলিয়ে ১৩৪টি সেতু নির্মাণে সহযোগিতা করেছে।