logo
আপডেট : ২২ জুন, ২০২২ ১৭:৫৯
সঠিক মোটিভেশন নিয়ে যেতে পারে কল্পনাতীত উচ্চতায়
পপি সরকার

সঠিক মোটিভেশন নিয়ে যেতে পারে কল্পনাতীত উচ্চতায়

সহজ কথায় মোটিভেশন হচ্ছে এমন এক উৎস যা মানুষের মন-মানসিকতা কে লক্ষ্য অর্জনে প্রস্তুত করবে।সঠিক মোটিভেশন আপনাকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে যা আপনি কল্পনাও করেননি। তাই প্রতিনিয়ত নিজেকে মোটিভেট করতে কিছু উপায় আমাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। জীবনে বড় কিছু হলে প্রথমত যেটা দরকার সেটা হলো নিজেকে নিজেই মোটিভেট করা। কিন্তু অনেকেই জানেননা কীভাবে নিজেকে মোটিভেট করবেন বা অণুপ্রানিত করবেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক নিজেকে মোটিভেট করার কিছু পদ্ধতি।

♦️(১)♦️ নিজের গুনগুলো খুজে বের করুন: প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে আপনার কি কি গুন আছে, তাহলেই আপনি কিছু করার ইচ্ছে অনুভব করবেন। মূলত যেসকল মানুষ নিজেদের গুন সম্পর্কে জানেনা, তারা নিজেকে অনেক ছোট মনে করে এবং এজন্য তারা কোন কাজে আগ্রহী হয়না।এই ভেবে ভয় পায় যে তাকে দিয়ে কিছু হবেনা, সে কিছুই পারবে না।

শুধুমাত্র এই আগ্রহ না থাকার কারণে পৃথিবীর অনেক মানুষ যোগ্যতা থাকার পরও কোন প্রডাক্টিভ কাজ করেননা। তাই আগে নিজের গুনগুলি নিয়ে ভাবুন।কাজে উৎসাহ পাবেন ।

♦️(২)♦️ যেকোন সময়েই নতুন করে শুরু করুন: আমাদের জীবনে অনেক হতাশাজনক সময় আসে। যখন সবকিছু খারাপ ঘটতে থাকে, তখন মনে হয় আমি পারবনা। কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখতে হবে জীবন না শেষ হওয়া পর্যন্ত শেষ কথা বলতে কিছু নাই।

ক্লাসে রেজাল্ট খারাপ, ব্যবসায় লোকসান, চাকরি চলে যাওয়া, সম্পর্কে বিচ্ছেদ এগুলো জীবনের অংশ। জীবন এতে থেমে থাকে না। আমাদের আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। চেষ্টা করলে আরো ভালো কিছু করতে পারি আমরা। এটা মাথায় রেখে নিজেকে মোটিভেট করতে হবে। সবসময় মোটিভেট করার জন্য অন্যদের পাশে পাবেন না। আর সবচেয়ে বড় মোটিভেশন হলো সেলফ মোটিভেশন।

♦️(৩)♦️ ভালোলাগার কাজগুলো করুন: মানুষ তখনই সবচেয়ে বেশি নিজেকে নিয়ে হতাশা বোধ করে, যখন সে অলস সময় কাঁটায় অথবা বিনোদনের ভিতর ডুবে থাকে। প্রডাক্টিভ কাজ না করলে ধীরে ধীরে মন-মগজ কার্যকরভাবে কাজ করা কমিয়ে দেয়। আর আপনি যখন কোনো কাজ করেন, তখন কিছু করা বা শেখার আনন্দ আপনার ইচ্ছেশক্তিকে আরো বাড়িয়ে দেয়। নতুন নতুন কাজ করার উদ্যম সৃষ্টি করে। তাই অলসভাবে বসে থাকবেন না। ভালোলাগার কাজগুলো করুন, বিনোদনের সময়ও নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। পছন্দের বিষয়গুলো নোট করে রাখুন। এগুলো আপনাকে সবসময় মোটিভেট করবে।

♦️৪.♦️ ইতিবাচক মানুষের সাথে মেলামেশা করুন: যারা প্রকৃতিগতভাবে নেতিবাচক ধ্যান ধারনার তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করুন। কারণ যারা সব সময় বলে তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না, এটা তুমি পারবে না, তারা মূলত আপনাকে হতাশ বানিয়ে তুলে। তাই ইতিবাচক মানসিকতার মানুষদের সাথে থাকুন। তারা সব সময় ইতিবাচকভাবে সাহস দেবে আপনাকে। একটি কাজে আপনি সফল হন বা না হন তারা আপনাকে নিরুৎসাহিত না করে উৎসাহিত করবে। তাই ইতিবাচক মানুষদের সাথে মিশুন, এটা আপনাকে সব সময় মটিভেট করবে।

♦️৫.♦️ ভুল থেকে শিক্ষা নিন: জীবনে চলার পথে মানুষ প্রতি পদে পদে ভুল করে কিন্তু ভুল করে থেমে গেলে হবে না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে নতুন উদ্যোমে আবার কাজ শুরু করতে হবে। ভুল থেকে যারা শিক্ষা নেয় তারাই জীবনে সফল হতে পারে। ভুল করা খুব স্বাভাবিক বিষয়, মানুষ মাত্রই ভুল করবে। কিন্তু ভুল আঁকড়ে ধরে থাকলে কখনো উন্নতি হবে না। তাই ভুল থেকে শিক্ষা নিন, কোথায় ভুল ছিলো, কিভাবে কাজ করলে ভুল হবে না। এভাবেই নিজেকে নিজে উৎসাহিত করুন। নিজের মোটিভেটর নিজেই হোন। তাহলে সফলতা আপনার দুয়ারে আসবে।

♦️উপসংহার: সর্বোপরি যে নিজেই নিজেকে মোটিভেট করতে পারে, সে কখনো হেরে যায় না। জীবনে ব্যর্থতা আসবে কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং এজন্য নিজেকে নিজেই অনুপ্রাণিত করুন। জীবনের উত্থান-পতন আসবে, মনে হবে সব শেষ হয়ে গেছে কিন্তু খুঁজে দেখুন আবার বেঁচে থাকার, দেখবেন নতুন করে শুরু করার হাজারটা কারণ পেয়ে গেছেন। নিজের যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করুন। সবচেয়ে বড় কথা চেষ্টা ও পরিশ্রম করুন। আপনি যা চান শুধু তাই নয়; চাইলে আপনি পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দিতে পারবেন- সৃষ্টিকর্তা মানুষকে এমন শক্তি দিয়েই পাঠিয়েছেন। তাই নিজেকে মোটিভেট করুন সফলতা আসবেই, ইনশাল্লাহ।