logo
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২২ ১৭:২৫
১১৬ আলেমের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়নি দুদক
কমিটি অনুসন্ধান করবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক

১১৬ আলেমের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়নি দুদক

১১৬ জন আলেমের আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধানের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সংস্থার সচিব মাহাবুব হোসেন জনান- শুধুমাত্র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া ২২১৫ পাতার শ্বেতপত্রটি সত্যতা যাছাইয়ের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশন থেকে কোন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি।

 

দুদক সচিব বলেন, ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তা বা আলেমের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা’ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় কমিশনের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে বিবৃতি দেয়া হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ২২১৫ পাতার একটি শ্বেতপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করে। শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে সংক্ষিপ্তসার কমিশনে উপস্থাপন করার জন্য দুদক থেকে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে কমিশনের নিকট উপস্থাপন করাই এই কমিটির দায়িত্ব। আলেমগণের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধানের কোন দায়িত্ব কমিটিকে দেওয়া হয়নি। এমনকি কমিশন থেকে কোন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।

 

তিনি জানান- দুর্নীতি দমন কমিশনে সরাসরি পত্রযোগে বা ১০৬ হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে তা পুংখানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগ পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে কোন দুর্নীতির উপাদান বা তথ্য পাওয়া গেলে এবং তা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের সিডিউলভুক্ত হলেই কেবল তা’ পরবর্তীতে অনুসন্ধানের অনুমোদনের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হয়। এটিই দুুদকে অভিযোগ প্রাপ্তি ও নিষ্পত্তির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

 

মাহবুব হোসেন বলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শ্বেতপত্রটি ২২১৫ পাতার হওয়ায় তা পরীক্ষার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি একটি সংক্ষিপ্তসার কমিশনের নিকট উপস্থাপন করবে মাত্র। কমিটিকে কোন অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বা দুদক থেকে কোন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় নি। ধর্মীয় বক্তা বা আলেমগণের আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধান সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম এ কমিটি শুরু করবে না। এধরনের কোন দায়িত্ব কমিটিকে দেওয়া হয়নি। কমিটি কেবল শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে পর্যবেক্ষণ কমিশনের নিকট উপস্থাপন করবে। পরবর্তীতে কমিশন বিষয়বস্তু বিশদ পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।