আফগানিস্তানে বুধবারের ভূমিকম্পে বহু শিশু মারা যেতে পারে। দেশটির চিকিৎসকরা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাকতিকা প্রদেশে উদ্ধারকর্মীদের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পাকতিকা প্রদেশের মুখপাত্র আমিন হুজাইফা বলেছেন, ‘গত রাতে ভারি বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো উদ্ধারকারীদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু বাড়িঘর ধসে পড়েছে। এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর কাছে সহায়তা চেয়েছে তালেবান।
ভূমিকম্পের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা বর্তমান তালেবান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তালেবানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছি না। নেটওয়ার্ক খুব দুর্বল।
ভূমিকম্পে দক্ষিণ-পূর্ব পাকতিকা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জরুরি আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ শুরু করেছে জাতিসংঘ।
ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেকেই চাপা পড়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত ও পর্যাপ্ত লজিস্টিকের অভাবে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। জীবিত ও উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রাম, রাস্তাঘাট ও মোবাইল টাওয়ারের কথা জানিয়েছে।