logo
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২২ ১০:০২
মিচেল-ব্লান্ডেলের ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় এড়ালো নিউজিল্যান্ড
ক্রীড়া ডেস্ক

মিচেল-ব্লান্ডেলের ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় এড়ালো নিউজিল্যান্ড

ইংলিশ বোলারদের সামনে দুই কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল আবারো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। হেডিংলিতে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে বিপর্যয় থেকে রেহাই পেয়েছে কিউইরা। মিচেলের ৭৮ ও ব্লান্ডেলের ৪৫ রানে ভর করে দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ মাত্র ২২৫।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। নির্ধারিত বিরতিতে উইটেক হারাতে থাকে তারা। যার শুরুটা হয়েছিল টম লাথামকে দিয়ে। রানের খাতা খুলতেই পারেননি তিনি। অন্য ব্যাটারদের অবস্থা নাজুক হলেও লাথামের মতো কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়নি। সবাই কিছু না কিছু অবদান রেখেছেন।

দিনের প্রথম ওভারের শেষ বলে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ইংল্যান্ডকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন। তার বিদায়ের পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তেমন একটা সফল হতে পারেননি। দলীয় রান অর্ধশতকে পৌঁছানোর আগেই অধিনায়ককে রেখে ফিরে যান ইয়ং। তখন দলের রান ৩৫, আর ইয়ংয়ের ২০।

লাথাম ও ইয়ংয়ের বিদায়ের পর একে একে ক্রিজে এসেছেন ডেভন কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস। তারাও বেশিক্ষণ আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। কনওয়ে ২৬ রানে এবং নিকোলস ১৯ রানে ফিরে যান। তার আগে হতাশা নিয়ে ক্রিজ ছাড়তে হয় ৩১ রান করা উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল ক্রিজে আসলে নিউজিল্যান্ডের উইকেট পতন বন্ধ হয়। তারা দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করে দিন শেষ করেন। ১২৩ রানে পঞ্চম উইকেট যাওয়া নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে আর কোনো ক্ষত হতে দেননি। তারা এরই মধ্যে ১০২ রান জড়ো করেছেন।

ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল ইংল্যান্ড সফরে ভালো করছেন। সতীর্থরা ব্যর্থ হলে তাদের ব্যাট ঠিকই কথা বলে চলেছে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগেই দুই ম্যাচেই একটি করে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মিচেল। টম ব্লান্ডেল খুব যে পিছিয়ে তা নয়। তার সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই হয়নি, তবে ভালো ব্যাটিং করেছেন। একটাতে ১০৬ রানের ইনিংস রয়েছে তার, অন্যটাতে ৯৬ রান। ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে এতটাই সাবলীল ব্যাটিং করে চলেছেন যে, হেডিংলিতে তাদেরকে কোনো অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি। সফরে এ পর্যন্ত তারা পাঁচ ইনিংসে ৫৯৩ রান করেছে। ২০০৩ সালে নয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ ও হার্শেল গিবস ৬৭৭ রান করেছিলেন। তারপরই ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো কোনো জুটির এটাই সর্বোচ্চ রান।

মিচেল তার ৭৮ রানের ইনিংসটি খেলেছেন ১৫৯ বলে। ছয়টি বাউন্ডারির পাশাপাশি দুটো ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। অন্যদিক হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা ব্লান্ডেল ৪৫ রান করতে খেলেছেন ১০৮ বল। পাঁচ বাউন্ডারি তার ইনিংসে।

নিউজিল্যান্ডের হারানো পাঁচ উইকেটের দুটো নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। জ্যাক লিচেরও শিকার সংখ্যা দুই। জেমি ওভারটন নিয়েছেন এক উইকেট।