সব জল্পনা-কল্পনা-ষড়যন্ত্র ও বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ ২৫ জুন উদ্বোধন হচ্ছে বাংলাদেশের গৌরব, মর্যাদা ও নিজস্ব সক্ষমতার প্রতীক ‘পদ্মা সেতু’। নির্মাণ শুরুর আগে থেকেই বাংলাদেশের গৌরবের প্রতীক এই পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে অনেক বাধাবিঘ্ন, ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে দেশকে।
নিজস্ব অর্থায়নে ৬ দশমিক ২ কিলোমিটারের এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকসহ সারাবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে- ‘বাংলাদেশও পারে’। এ সেতু নির্মাণ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে দেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীতের ক্ষেত্রে এ সেতু ‘মাইলফলক’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ ছাড়া রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’র ক্ষেত্রেও এ সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এদিকে, উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুর দুই প্রান্তে জমকালো আয়োজনের সব ব্যবস্থা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এরপর গাড়িতে ‘পদ্মা সেতু’ পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আরেকটি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এজন্য ইতোমধ্যে সেতু এলাকায় নিরাপত্তা কঠোর ও জোরদার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মূল সেতু নির্মাণে খরচ ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা হলেও ভূমি অধিগ্রহণ ও নদী শাসনসহ অন্যান্য সবকিছু মিলিয়ে পুরো সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে, মূল সেতুর ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার হলেও নদীর পানির বাইরে ভায়াডাক্ট অংশে সেতুর দৈর্ঘ্য আরো ৩.৬৯ কিলোমিটার। এ হিসেবে পানির অংশ এবং পানির বাইরের অংশসহ পুরো সেতুর দৈর্ঘ্য ৯.৮৪ কিলোমিটার।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সেতু এলাকার মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। এ দুটি ম্যুরালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি রয়েছে। আর এর পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে ‘উদ্বোধনী ফলক’।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে, সেতুর বাইরে আছে আরো প্রায় ২০০ বাতি। সেতুর দুই পাড়ে স্থাপিত বিদ্যুতের উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ-সংযোগ সম্পন্ন হয়েছে। আর ইতোমধ্যে পুরো সেতুতে আলোও জ্বালানো হয়েছে।
এদিকে, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ পদ্মা নদীর ওপর সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং জাইকা এ প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার চুক্তি করলেও কথিত দুর্নীতির অভিযোগে ঋণ চুক্তি বাতিল করে। এসব সংস্থা পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বাতিল করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। তারপরও এ সেতু বাস্তবায়নে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। বাংলাদেশের একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর বিরুদ্ধেও এ সেতু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হেসেন পদত্যাগ করেন। যদিও পরবর্তীতে কানাডার আদালতে এ কথিত ‘দুর্নীতির অভিযোগ’ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অচিরেই পরিপূর্ণ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ উন্নত দেশে উন্নীতের ক্ষেত্রেও পদ্মা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ‘মাইলফলক’ হবে। এ সেতু চালুর পর দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করেন তারা।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লি কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ভোরের আকাশকে বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের সফল বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক অর্জন। এ সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকভাবে আরো এগিয়ে যাবে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সড়ক ও রেল যোগাযোগে এ সেতু বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এ সেতুর মাধ্যমে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক গতিশীলতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরে এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে আবির্ভূত হবে।
জানা গেছে, এর আগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে ১৮টি উপকমিটি গঠন করে সেতু বিভাগ। এ কমিটিগুলো প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করেছে। আমন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত কমিটি আমন্ত্রণ কার্ডের নকশা ও সজ্জার কাজ সম্পন্ন করেছে। মনোরম ভেন্যু, সাজসজ্জা, আসন ব্যবস্থাপনা ও অতিথিদের অভ্যর্থনার জন্যও গঠন করা হয়েছিল আলাদা কমিটি। এ ছাড়া দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, বিদেশি কূটনীতিক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক ও সুধী সমাজের প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেতু বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের আকাশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিক ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর আগে থেকে এই প্রকল্প দেশে-বিদেশে আলোচিত। এ জন্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আকর্ষণীয় করার সবধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রদর্শনীর পাশাপাশি অতিথিদের দেওয়া হচ্ছে উপহার-স্যুভেনির। পাশাপাশি অতিথিদের মাওয়া ও জাজিরা দুই পাড়েই আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকছে। আর করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য দুই পাড়েই একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন প্রসঙ্গে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম ‘ভোরের আকাশ’কে বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতা, সাহস ও মর্যাদার প্রতীক। এই সেতু নির্মাণ বাংলাদেশকে ৫০ বছর এগিয়ে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে নিজস্ব অর্থায়নে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ সফল হবে।
এ সেতু সফলভাবে নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হবে উল্লেখ করে এনামুল হক শামীম বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আবেগ, ভালোবাসা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটি আমাদের দেশের বড় অর্জন। এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক আরো মজবুত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন, দেশের মানুষের অভূতপূর্ব সমর্থনের ফলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। এ সেতু উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য এলাকার সঙ্গে যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অর্থনীতিবিদদের মতে, পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে প্রতি বছর জিডিপিতে ১০ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। যার মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ ওঠে আসার পাশাপাশি নির্মাণ ব্যয়ের ৩ গুণ যোগ হবে দেশের অর্থনীতিতে। আর সড়ক ও রেল যোগাযোগ একত্রে চালু হওয়ার পর দেশের অর্থনীতিতে বছরে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ১০ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে বলে মনে করেন তারা। এ সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের ওপর ব্যয় হয়েছে। আর এ সেতু শুধু যোগাযোগের ক্ষেত্রেই নয়, বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক করিডর হিসেবেও আবির্ভূত হবে। এ ছাড়া এই সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান ও নেপালের সড়ক এবং রেল যোগাযোগ এবং ‘রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’ জোরদার হবে। এ ছাড়া পদ্মা সেতু এশিয়ান, ট্রান্স এশিয়ান ও প্যান এশিয়ান রেল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে বিদ্যমান বৈষম্য অনেকাংশে কমবে। দেশের মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণেও এ সেতু সহায়ক ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগের ক্ষেত্রেই নয়, এটি হবে দেশের উন্নয়নে ‘অর্থনৈতিক করিডর’। পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা ও পায়রা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরো সমৃদ্ধ করবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতুর ওপরাংশ দিয়ে চলবে বাস-ট্রক-কারসহ যানবাহন। আর নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। তবে ২৫ জুন উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হবে।
উদ্বোধনীতে রাজধানীসহ সারাদেশে উৎসব
২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরায় হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতুর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেশের ৬৪টি জেলাতেও দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে রাজধানীর হাতিরঝিলে লেজার শো’র আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় জেলায়ও উৎসব করে উদ্যাপনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপনে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সারা দেশে একযোগে দেখানোর ব্যবস্থা করতে দেশের সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাতিরঝিলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি লেজার শো’র আয়োজন করা হবে। সন্ধ্যায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৯ জুন পর্যন্ত চলবে এ অনুষ্ঠান। এ ছাড়া পরবর্তীতে অনুষ্ঠান হাতিরঝিল ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা অন্য কোনো সুবিধাজনক জায়গায় অনুষ্ঠানের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুকেন্দ্রিক ভিডিও দেখানোসহ বিভিন্ন আয়োজন থাকবে।
এ ছাড়া, কয়েকটি জেলায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি ৫৬ টি জেলায় এক দিনের জন্য অনুষ্ঠান পালন করা হবে। তবে কোনো জেলা একাধিক দিনও অনুষ্ঠান করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।