logo
আপডেট : ২৫ জুন, ২০২২ ১৬:২৩
'শিবের মতো বিষপান করে যন্ত্রণা সয়েছেন মোদিজি'-গুজরাত দাঙ্গা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

'শিবের মতো বিষপান করে যন্ত্রণা সয়েছেন মোদিজি'-গুজরাত দাঙ্গা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ (ফাইল ছবি)

২০০২ সালের দাঙ্গার মামলায় গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এসআইটির দেওয়া 'ক্লিনচিট'কে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন দাখিল হয়েছিল সেই আবেদনকে খারিজ করেছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'সত্য সোনার মতো জ্বলজ্বল করে বেরিয়ে এসেছে।' সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অমিত শাহ বলেন, 'ভগবান শিব যেমন বিষ পান করে তা কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন মোদিও ১৯ বছর ধরে নীরবে ব্যথা সহ্য করেছেন।'

তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে। আপনি একপ্রকার বলতেই পারেন যে অভিযোগগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, এটিও প্রমাণিত হয়েছে। ১৯ বছরের যুদ্ধ। এত বড় নেতা একটিও কথা না বলে, ভগবান শিবের মতো বিষ পান করে ব্যথা সহ্য করেছেন এবং লড়াই চালিয়ে গেছেন। এখন সত্য ঝকঝকে সোনার মতো জ্বলজ্বল করে বেরিয়ে এসেছে।'

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যে ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অভিযুক্ত আরও ৬৩ জনকে দেওয়া এসআইটি -এর ক্লিনচিটকে মান্যতা দিয়ে জানায়, গোধরা ট্রেন হত্যাকাণ্ড যে ‘পরিকল্পিত’ তা প্রমাণ করা মতো কোনো উপাদান নেই। প্রশাসনের এক অংশের কিছু কর্মকর্তার নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা পূর্ব পরিকল্পিত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অনুমানের ভিত্তি হতে পারে না বা একে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতামূলক অপরাধ হিসাবেও ব্যাখ্যা করার ভিত্তি হতে পারে না।

নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া একে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিযোগ করেছেন।

গোধরা ট্রেন হত্যাকাণ্ডে ৫৯ জনের মৃত্যুর ঠিক একদিন পরে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে দাঙ্গার ঘটনায় নিহত ৬৮ জনের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস এমপি এহসান জাফরি।

এএনআইকে অমিত শাহ বলেন, আমি ঘনিষ্ঠভাবে মোদিজিকে এই যন্ত্রণা সহ্য করতে দেখেছি, সত্যের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও অভিযোগের মুখোমুখি হতে এবং বিচার প্রক্রিয়া চালু থাকায় তিনি কথা বলেননি। একমাত্র দৃঢ় হৃদয়ের মানুষই এটা করতে পারে। আজ আমরা যে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি, আমি গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এবং পরে দলীয় প্রধান হিসেবে ২০০৩ সালেই তা করতে পারতাম। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোদিজি এমন কিছুই বলেননি যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে। তিনি নীরবে সব সহ্য করেছেন।

সূত্র : নিউজ এইটিন