দিনের প্রথম ঘণ্টায় ১ উইকেট। তবে প্রথম সেশন শেষে উইকেটের সংখ্যা চারটি। বাংলাদেশের বোলাররা ভালোমতোই ফিরে এসেছিল। তবে দিনের বাকি দুটি সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেন ক্যারিবীয় দুই ব্যাটার মায়ার্স ও ব্লাকউড। পরে যোগ দিলেন জুশয়া ডি সিলভা। সব মিলিয়ে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ভালো অবস্থানে উইন্ডিজ। বোলিংয়ে এ খেই হারানো এবং যথেষ্ট ধারাবাহিক হতে না পারায় বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বেশ হতাশ। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট নেয় বাংলাদেশ। তখন এমনকি লিড নেওয়ার সম্ভাবনাও ছিল উজ্জ্বল। লাঞ্চ বিরতিতে উইন্ডিজের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৩৭।
লাঞ্চের পর সেই শৃঙ্খলা ও চাপ ধরে রাখার প্রক্রিয়ায় দেখা যায়নি বাংলাদেশের বোলিংকে। দিনজুড়ে ভালো বোলিং করতে পেরেছেন শুধু মিরাজ। তিনিই শেষ সেশনে ব্ল্যাকউডকে (৪০) আউট করে ১১৬ রানের জুটি ভাঙেন। কিন্তু মেয়ার্স আরো একটি জুটি গড়ে তোলেন জশুয়া দা সিলভাকে নিয়ে। দিন শেষে উইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ৩৪০। মেয়ার্স অপরাজিত ১২৬ রানে। দিন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডমিঙ্গো অসন্তুষ্টির কথা জানান, ‘এ মুহূর্তে গল্পটা টেস্ট ক্রিকেটের মতোই, একটা সেশন ভালো গেছে আমাদের, আরেক সেশন খুবই বাজে। হয়তো ছেলেরা অধৈর্য হয়ে গিয়েছিল। টানা যথেষ্ট পরিমাণে আঁটসাঁট বোলিং করে ওদের চাপে ফেলতে পারিনি আমরা, যেটা পেরেছিলাম প্রথম সেশনে। খুবই হতাশার এটি।’ ‘প্রথম সেশনে আমরা অসাধারণ বোলিং করেছি। কিন্তু লাঞ্চের পর সেটা ধরে রাখতে পারিনি। উইকেটের জন্য বোলিং করতে গিয়ে কিছু আলগা বল করেছি। যখন ওভার দ্য উইকেট করার কথা, তখন রাউন্ড দ্য উইকেট করেছি। যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য না ধরে মৌলিক কিছু ভুল করেছি।’
লাঞ্চের পর বাংলাদেশের কিছুটা এলোমেলো বোলিং দেখে মনে হয়েছে, পরিকল্পনা বুঝি ছিল ভিন্ন কিছু। তবে কোচ জানান, দলের প্রতি তাদের বার্তা ছিল আগের মতোই। তিনি বলেন, ‘বার্তাটা সবসময়ই থাকে ডট বল করে চাপ গড়ে তোলা। রান রেট নিয়ন্ত্রণে রাখা। উইকেট নেওয়ার জন্যই আমাদের সেই প্রক্রিয়াটা দরকার। কিন্তু উইকেটের তাড়নায় আমরা অনেক বেশি আলগা বল করে ফেলেছি। ধৈর্য ধরা, শৃঙ্খলা রাখা, এ প্রক্রিয়াগুলোয় আমরা জোর দিয়েই বলে যাচ্ছি। কিন্তু যথেষ্ট লম্বা সময় ধরে আমরা তা করতে পারছি না। আমরা এক সেশন করতে পারি, আরেক সেশনে পারি না। লম্বা সময় চাপ ধরে রাখতে পারি না।’