শেষ দুই দশকে আর্জেন্টিনার বড় সাফল্য বলতে আছে শুধু একটা অলিম্পিক সোনা আর একটা কোপা আমেরিকা শিরোপা। দুটির ফাইনালেই গোল এসেছে আঞ্জেল ডি মারিয়ার পা থেকে। চলতি মাসের শুরুতে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে ফিনালিসিমায়ও ছিল তার গোল। এত কিছুর পরও বিশ^কাপে জায়গা পাবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহে আর্জেন্টিনার অনেক জয়ের এ নায়ক। সম্প্রতি টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিশ^কাপে একমাত্র মেসির জায়গাই পাকা আছে।’ কথাটা অবশ্য গেল বছর কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও বলেছিলেন।
ডি মারিয়ার বলার কারণ অবশ্য ভিন্ন। নিজের জায়গা নিয়ে তার সন্দেহ মূলত তার ক্লাব বদলে ফেলার কারণে। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে চলতি মাসের শেষেই, ফরাসি দলটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেননি তিনি। কোথায় যাবেন, সেটাও ঠিক নয় এখনো। নতুন ক্লাবে যাওয়া, এরপর সেখানে মানিয়ে নেওয়া, এরপর পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ^কাপ দলে জায়গা করে নেওয়াÑ এজন্য তিনি পাচ্ছেন মাত্র ৪ মাসের মতো সময়। কাজটা কঠিন বেশ। তিনি বলেন, ‘চার মাস বাকি আছে এখনো, আপনি জানেন না, এ সময়ে কী হবে। আমাকে ক্লাব বদলাতে হবে, মানিয়ে নিতে হবে, খেলতে হবে, ভালো অনুভবও করতে হবে। আর এটা অনেক কিছু বদলে দেবে।’ ডি মারিয়া আর্জেন্টিনার শেষ কয়েক বছর ধরেই স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তবে ফর্মহীনতার কারণে গেল জুন থেকে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল পর্যন্ত দলে সুযোগ পেয়েছেন সামান্যই।
ফাইনালে অনেকটা চমক হিসেবেই তাকে শুরুর একাদশে রেখেছিলেন কোচ স্ক্যালোনি। আর এরপরই করে বসেন গোলটা, বনে যান নায়ক। এরপর থেকে দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে ডি মারিয়া জানেন, পরিস্থিতিটা দ্রুতই বদলে যেতে পারে। ২০২১-২২ মৌসুমের শেষে পিএসজিকে বিদায় বলেছেন তিনি। ৭ বছরের সম্পর্ক শেষে ডি মারিয়া এখন আছেন নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে। জুভেন্টাস তাকে দলে চাইছে, বার্সেলোনারও আগ্রহ আছে। তবে ৩৪ বছর বয়সি ডি মারিয়া কোনো তাড়াহুড়ো করতে চান না। ইতালিয়ান ক্লাবটির এ আগ্রহকে স্বাগত জানালেও সিদ্ধান্ত জানাতে একটু অপেক্ষা করতে চান। মার্কার অভিমত, ন্যু ক্যাম্প থেকে ফোনকলের আশায়ই জুভেন্টাসকে এমন অপেক্ষায় রেখেছেন তিনি। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আপাতত ছুটিটা উপভোগ করতে চান তিনি। ডি মারিয়ার কথা, ‘জুভেন্টাস ইতালির সবচেয়ে বড় ক্লাব, যারা আমার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে, তাদের মধ্যে জুভেন্টাস একটি। বর্তমানে আমি ভাবছি, কিন্তু আমার মূল মনোযোগটা পড়ে আছে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটানোতেই।’