logo
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২২ ০০:০০
মা হলেন স্পর্শিয়া

মা হলেন স্পর্শিয়া

অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া

মা হলেন টিভি অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। তবে বাস্তবে নয় নাটকে। দীপ্ত টিভির জন্য নির্মিত ঈদের নাটক ‘মায়ের বিয়ে’তে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। আল আমিন স্বপনের রচনায় নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মামুন আব্দুল্লাহ্। অর্চিতা স্পর্শিয়া ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, নাজাহ আলাইনা, দেবব্রত মিত্র, রেশমা, শেখ স্বপ্না।

কাজী মিডিয়া লিমিটেড প্রযোজিত মায়ের বিয়ে নাটকটি নির্মাণ করেছে প্লাটিনাম মাল্টিমিডিয়া। নাটকটির লাইন প্রযোজক সাইফুর রহমান সুজন এবং নির্বাহী প্রযোজক নাইমুল হাসান রাব্বী। মামুন আব্দুল্লাহ একজন মেধাবী নির্মাতা। দীর্ঘদিন পর ঈদের নাটক নিয়ে ফিরলেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে তিনি নাট্য নির্দেশনা গ্রুপে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মামুন আব্দুল্লাহর জন্ম গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি মেঝ। বাবা মরতুজ আলী পেশায় ছিলেন শিক্ষক। মা বেগম রোকেয়া পরিবার পরিকল্পনা উপজেলা অফিসের ইউনিয়ন পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।


মামুন আব্দুল্লাহ সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি একই বিভাগে এমফিল করছেন।


নাটকের গল্প নিয়ে বলতে গিয়ে মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, মানবিকতার গল্পের নাটক মায়ের বিয়ে। নাটকের নাম শুনে অনেকে অবাক হলেও গল্পটা একটু অন্য ধরনের। আমাদের সমাজ নির্ভর একটা গল্প। নাটকটি দর্শক দেখলেই সেটা বুঝতে পারবে বলে আমি মনে করি। মায়ের বিয়ে! নামটা শুনে একটু অবাক লাগছে তাই না? গল্পটা একটু অবাক করে দেওয়ার মতোই।


তিনি আরো বলেন, গল্পের শুরুতেই দেখা যায়, রাজ্জাক সাহেবের একমাত্র মেয়ে তুশিকে পাত্রপক্ষ দেখতে এসেছে এবং এসেই আবিষ্কার করে তুশির অলরেডি একটি ছোট মেয়ে আছে। সে মেয়ে তাকে মা মা বলে ডাকছে! পাত্রপক্ষের চক্ষু চড়কগাছ। যে মেয়ের বাচ্চা আছে তাকে কিনা বিয়ে দিতে চাচ্ছে রাজ্জাক সাহেব!

পাত্রপক্ষ রাগ করে চলে যায় রাজ্জাক সাহেবের বাড়ি থেকে। এ রকম বেশ কয়েকবার বিয়ে ভাঙে তুশির। প্রতিবারই তুশির ছোট্ট মেয়েটিকে দেখে পাত্রপক্ষ বিমুখ হয়ে চলে যায়। তুশির মা বাবা দুজনেই চিন্তিত হয়ে পড়েন মেয়েকে নিয়ে। এর মাঝেই এক দিন তুশির মায়ের বান্ধবী নিজের ছেলের জন্য তুশিকে দেখতে আসেন।

তুশির বাবা মা বুদ্ধি করে তুশির ছোট্ট মেয়ে দৃষ্টিকে সরিয়ে রাখেন। তুশিকে দেখে পছন্দ হয় পাত্র বন্ধন এবং তার মায়ের। দেখতে এসেই বন্ধনের জন্য তুশির হাতে আংটি পরিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এই বিয়েও পরিণতি পাওয়ার আগে তুশির মেয়ে আছে এই কথা জেনে যায় বন্ধন এবং তার মা। তারা চরম হতাশা প্রকাশ করে চলে যায়।

তুশির বাবা মা আবারো মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তুশি বন্ধনকে ফোন করে দেখা করতে চায়। দেখা করে আসল ঘটনা খুলে বলে বন্ধনকে। ‘দৃষ্টি আসলে ওর নিজের মেয়ে না। একজন ছিন্নমূল শিশু। তুশি বাসস্ট্যান্ডে কুড়িয়ে পেয়েছিল তাকে। দৃষ্টির বয়স তখন মাত্র কয়েক মাস। ওর মা ওকে ফেলে নিরুদ্দেশ হয়েছিল।

অতটুকু বাচ্চাকে বাসস্ট্যান্ডে দেখে বড় মায়া হয় তুশির, সাথে করে নিয়ে আসে। সেই থেকেই ছোট্ট মেয়েটিকে বড় করছে তুশি। পিতামাতাহীন একটি শিশুর মা হওয়া কি অপরাধ? বন্ধনের কাছে এমন প্রশ্নই রাখে তুশি। এভাবেই নানা দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।