ঢাকা: সরকারি কেনাকাটার বিল মেটাতে এবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬.৯৭ বিলিয়ন ডলারে নামল। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করার পর রিজার্ভ ছিল ৩৭.১১ বিলিয়ন ডলার। গত বুধবার দিন শেষে দেশের সব চেয়ে আলোচিত এ সূচক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। মঙ্গলবারও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে উচ্চ আমদানি ব্যয় পরিশোধের পর দেশের রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা বলেন, আমদানি ব্যয় কমছে। যে রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে ৬ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। উদ্বেগের কিছু নেই। অন্যদিকে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ছে। ডলারের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠে যাবে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬.৬৩ বিলিয়ন ডলার। একই বছরের আগস্টে রিজার্ভের পরিমান অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, আমদানি বিল পরিশোধের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বুধবার বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কাছে রিজার্ভ থেকে ৭ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। সে কারণেই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর আকুর জুলাই-আগস্ট মেয়াদের ১.৭ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৭.০৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২৬ মাস পর রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে। এর আগে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ৩৭.১১ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। এরপর গত কয়েকদিন তা ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ওপরেই অবস্থান করছিল। ডলারের বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেই চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে সরকারি কেনাকাটার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত দুটি ব্যাংকের কাছে ৭ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২ মাস ২১ দিনে রিজার্ভ থেকে ২৮০ কোটি (২.৮০ বিলিয়ন) ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রির কারণেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ার পরও রিজার্ভ কমছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ভোরের আকাশ/আসা