logo
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:৩৫
গাইঞ্জা ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত যমুনার চরের কৃষকরা
বগুড়া ব্যুরো

গাইঞ্জা ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত যমুনার চরের কৃষকরা

বগুড়া: জেলার সারিয়াকান্দিতে যমুনার চরের চাষিরা গাইঞ্জা ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মৌসুম লেগে যাওয়ায় নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে চারা গাছ রোপণে সময় দিচ্ছেন চরের কৃষকরা। এবারে বেশি বন্যা না হওয়ায় গাইঞ্জা ধান চাষের জমির আয়তন তেমন বাড়েনি। এ কারণে ধানের চাষ কিছু কম হবে এমনটাই দাবি করছেন চরের চাষিরা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দফায় দফায় বন্যা হলেও সে পরিমাণ বন্যা হয়নি যমুনা ও বাঙালি নদীতে। যে বন্যা হয়েছে, তাতে গাইঞ্জা ধান চাষের উপযোগী পলি মাটি তেমন একটা আসেনি। বরং কিছু পরিমাণ জমিতে বালির আস্তরন পড়ে জমির পরিমাণ কমেছে। এসব জমিতে কোনো রকম আবাদ করার উপযোগী হয়নি।

 

চাষিরা বলেছেন, বন্যার ওপর নির্ভর করে গাইঞ্জা ধানের আবাদ করা হয়। সর্বশেষ যমুনা নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানি এলেও তাতে পলি মাটি আসেনি। যেখানে চাষের উপযোগী জমি রয়েছে সেখানেই গাইঞ্জা ধানের চারা রোপণ শুরু করা হয়েছে। উপজেলার কর্ণিবাড়ি, বোহাইল, কাজলা, চালুয়াবাড়ি, হাটশেরপুর ও সদর ইউনিয়নের চর এলাকায় সবচেয়ে বেশি গাইঞ্জা ধান আবাদ করা হয়। চরের উঁচু-নিচু জমিতে এ ধানের আবাদ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও রাসায়নিক সার তেমন একটা প্রয়োজন হয় না।

 

চালুবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব সুজাইতপুর গ্রামের চাষি মজনু মন্ডল বলেন, বন্যা তেমন হয়নি, পলি মাটিও পড়েনি তেমন। তবে আমি এবার ৮ থেকে ১০ বিঘা জমিতে গাইঞ্জা ধানের আবাদ করব। এরই মধ্যে ৪ বিঘা জমিতে চারা রোপণ শেষ করেছি।

 

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৩ হাজার ২২ হেক্টর জমিতে গাইঞ্জা ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার দুইশ হেক্টর জমিতে এ ধান রোপণ শেষ করা হয়েছে।

 

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল হালিম বলেন, চরের চাষিরা পরিশ্রমী। তারা যেকোনো ফসল ফলাতে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে থাকেন। বিনা চাষে গাইঞ্জা ধান চাষে তাদের অনেক দিনের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করে থাকে। এ ধানের চালের ভাত সুস্বাদু এবং প্রাপ্ত খড় গো-খাদ্যের জন্য খুবই উপযোগী।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/