চট্টগ্রাম : আর মাত্র এক থেকে দেড় মাস পর আমন ধান কাটা শুরু হবে। সে অনুযায়ী, প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা। কিন্তু হঠাৎ কৃষিজমিতে দেখা দিয়েছে পাতা হলুদ এবং লালচে হওয়ার সমস্যা। পাতা পচে ঝরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ধানের ফলন ভালো হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকেরা।
রাঙ্গুনিয়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে।
শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ইসলামপুর, দেশের শস্যভাণ্ডারখ্যাত গুমাইবিল, মরিয়ম নগর, রোয়াজারহাট কর্ণফুলী এলাকা, শান্তির হাটের বিভিন্ন গ্রামে রয়েছে বিস্তীর্ণ আমন ধানের ক্ষেত। এখনো ধানগাছে থোড় বের হয়নি। গাছ সবুজ থাকার কথা। কিন্তু দূর থেকে মনে হচ্ছে অনেক জমির ধান পেকে গেছে। কাছে গেলে দেখা যায়, পাতা হলুদ হয়ে গেছে। ইসলামপুর পিয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির সামনে রাস্তার দুই পাশের দুটি বিলেও এমন চিত্র দেখা যায়।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাছের সবুজ পাতা হলুদ বা লাল হয়ে যাচ্ছে। কিছু পাতা সাদা হয়ে পচে ঝরে যাচ্ছে। অনেকে নিজেদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, কেউ কৃষি বিভাগের পরামর্শ মতো পটাশসহ বিভিন্ন ধরনের সার স্প্রে করছেন। কেউ কেউ দু-তিনবারও স্প্রে করেছেন। কিন্তু সুফল পাচ্ছেন না।
পোমরা ইউনিয়নের কৃষক আবদুল কাদের বলেন, ‘গাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে। দূর থেকে মনে হয় ধান পেকে গেছে। অথচ এখনো ধানের থোড়ই বের হয়নি। ধান পাকতে আরও এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। থোড় বের হওয়ার আগে পাতা হলুদ হওয়ায় আমাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। অর্ধেক ফসলও পাব না।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার বলেন, আর কয়েক মাস পর পাকা ধান কাটা শুরু হবে। তবে প্রতিবছর এ রকম কিছু জমির ধানগাছের পাতা লাল বা হলুদ হয়ে থাকে। কিছু জমি সারের অভাবে আর কিছু ধান গাছে পোকা ধরায় হলুদ রং আসে পাতায়। তবে এ পর্যন্ত কোনো কৃষক অভিযোগ নিয়ে আসেনি। যাদের কৃষি জমির ধানক্ষেতে এমন সমস্যা দেখা দিবে তারা যেন মাঠপর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষি অফিসের সহযোগিতা নেন।
ভোরের আকাশ/জেএস/