logo
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৪৮
বন্ধ কারখানা চালুর উদ্যোগ নেবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

বন্ধ কারখানা চালুর উদ্যোগ নেবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং

ঢাকা: অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও জ্বালিয়াতির কারণে ঋণ কার্যক্রম বন্ধেে আছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইনান্স এন্ড সার্ভিসিং লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির দেখ-ভালের দায়িত্বে আছে হাইকোর্ট নির্ধারিত বোর্ড। বোর্ড দুই বছরে গ্রাহকদের ১৩৯ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। বাকী টাকা পর্যায়ক্রমে ফেরত দেবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব  মো: নজরুল ইসলাম খান।   

 

অভিযোগ রয়েছে, দেশের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্নসাৎ এবং পাচারের অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার বা পি কে হালদার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। 

 

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এমন আশ্বাস দেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউর রহমান প্রমুখ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান অবস্থা ছড়িয়ে পড়ার ফলে ভাল গ্রাহকরাও টাকা ফেরত দিচ্ছে না। যে সব প্রতিষ্ঠান ভাল ছিল, সেগুলোও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এখন আর কোন টাকা ফেরত আসছে না। এ জন্য যে সব প্রতিষ্ঠান লাভজনক ছিল, কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে এগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে কারখানার পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের টাকা ফেরত আসে। এ জন্য আদালতের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। ঋণ গ্রহিতার কাছে থেকে টাকা ফেরত আসা সাপেক্ষে আমানতকারীকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

 

মো: মশিউর রহমান জানান,  ৪ হাজার ৬৫২ জন আমানতকারীর টাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইনান্স এন্ড সার্ভিসিংয়ে জমা আছে। যাদের আমানতের পরিমান কম, পর্যায়েক্রমে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের আমানত ও ঋণের দায়কে  ইক্যুইটিতে  রুপান্তর করার লক্ষ্যে  ইতোমধ্যে একটি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে ইস্যু  ম্যানেজমেন্ট  পরিসেবার  জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে সামগ্রিক  দায়ের সাথে  সম্পদের সমান অবস্থান বজায় রেখে শেয়ার ইস্যু করা হবে।

 

সংবাদ সম্মলনে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা মোট ৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমান ৩ হাজার ১৫২ কোইট টাকা। খেলাপি ঋণের হার ৭৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খেলাপি ঋণের মধ্যে ২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকাই মন্দ মানের ঋণ।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/