logo
আপডেট : ৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:৩০
জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘বিপজ্জনক’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘বিপজ্জনক’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

ঢাকা: জাপানের ওপর দিয়ে ‘বিপজ্জনক’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। এ ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বিশ্লেষকরা এর সমালোচনা করেছেন।

 

টোকিও এবং সিউলের কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার (৬২০ মাইল) সর্বোচ্চ উচ্চতায় সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৬০০ কিলোমিটার (২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮৫০ মাইল) উড়েছিল। চীনের সীমান্তের কাছে দেশের উত্তর থেকে উৎক্ষেপণ করা অস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ার আগে প্রায় ২২ মিনিট উড়েছে।

 

জাপানের উপকূলরক্ষী এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এটি শনাক্ত করেছে। এঘটনায় ফলে উত্তর জাপানের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সতর্কীকরণ সাইরেন বাজানো হয়েছে। এছাড়া উত্তর-পূর্ব হোক্কাইডো এবং আওমোরি অঞ্চলে ট্রেন পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা।

 

সূত্র জানিয়েছে- ২০১৭ সালের পর উত্তর কোরিয়ার এটি প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, যা জাপানের উপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে। এক কাণ্ডকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ‘বর্বর’ কাজ বলে নিন্দা করেছেন।

 

অপরদিকে উৎক্ষেপণের পরে একটি দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। উভয় নেতাই নিজ নিজ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।

 

তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত উস্কানি সহ্য করা যাবে না এবং এর মূল্য দিতে হবে। সিউল উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদারসহ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

যদিও টোকিও বলেছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন, তারা পাল্টা আক্রমণ করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

 

জাপান সরকারেরের প্রধান মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- ‘উত্তর কোরিয়ার বারবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সহ ধারাবাহিক পদক্ষেপগুলি জাপান অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং জাপান সহ সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/