ঢাকা: ২১ বছর আগেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণ বা কারখানার অটোমেশন সরঞ্জামের জন্য খুব কম চাহিদা ছিল। তবে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে চাহিদা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। পাশাপাশি প্রগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের প্রচেষ্টায় দেশে এসব পণ্যের ইতিবাচক বাজার তৈরি হয়েছে।
জাপানের সেতসুয়ো অ্যাস্টেক কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মোটোকাজু ইনাবা সোমবার রাতে রাজধানীর হোটেলে ডোর ইন-এ অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। প্রোগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং সেটসুয়ো অ্যাস্টেক কর্পোরেশনের মধ্যে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাপানি ট্রেডিং কোম্পানি সেটসুয়ো অ্যাস্টেক কর্পোরেশন ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেটসুয়ো অ্যাস্টেক কর্পোরেশন ২০১৪ সালে মিতসুবিশি ইলেকট্রিকের শতভাগ সিস্টার কনসার্নে পরিণত হয়। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি, এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে ঢাকায় তাদের প্রতিনিধি অফিসের যাত্রা শুরু করেছে।
প্রোগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন বিশ্বখ্যাত প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারী জাপানি প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি ইলেকট্রিকের স্থানীয় পরিবেশক। প্রোগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের ২০১৬ সালে বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানি মিতসুবিশি অনুমোদিত ফ্যাক্টরি অটোমেশন সার্ভিস শপ চালু করার মাধ্যমে স্থানীয় গ্রাহকদের মিতসুবিশি ইলেকট্রিক পণ্যের সার্ভিসিং সেবা নিশ্চিত করছে। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি বর্তমানে দেশের ৯টি বিভাগেও নিজেদের সেবা প্রদান করছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন, ওয়াসা, রাজউক, বেপজা, বিসিআইসি, বিএফডিসি সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সুনামের সাথে কাজ করে আসছে।
বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোটোকাজু ইনাবা আরো বলেন, আমরা যে পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করি তা দেশ, বাজার, শিল্প এবং উদ্দেশ্যভেদে বিভিন্ন ফাংশন এবং চাহিদার উপর পরিবেশন করে। এই পণ্যগুলি কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য সিস্টেম ডিজাইন ও প্রোগ্রাম উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রে প্রয়োগকৃত জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োজন। অধিকন্তু, পণ্যগুলি পরিশীলিত হওয়ার সাথে সাথে প্রকৌশল এবং একীকরণ ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং ব্যবসায়িক চুক্তিগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য আরও সময় এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রোগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের বলিষ্ট কার্যক্রমের জন্য।
অনুষ্ঠানে প্রোগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন আমিন দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যবসায়িক সর্ম্পকের বিভিন্নদিক তুলে ধরেন। তিনি আগামীদিনে উভয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য জানান।
প্রসঙ্গত, প্রোগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির অটোমেশন ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বাজারে সেটসুয়ো অ্যাস্টেক কর্পোরেশনের মাধ্যমে মিতসুবিশি ইলেকট্রিকের বিভিন্ন পন্য যেমন বৈদ্যুতিক, ইলেকট্রনিক্স, অটোমেশন, শিল্প যন্ত্রপাতি এবং খুচরা যন্ত্রাংশ পরিবেশন করে। সেটসুয়ো অ্যাস্টেক কর্পোরেশন, প্রোগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের সাথে ২০০১ সালে অংশীদারিত্ব ব্যবসার শুভ সূচনা করে। যার সফল যাত্রার ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
ভোরের আকাশ/এমআরএন/জেএস/