logo
আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৫৪
মৎস্য ঘেরের চারপাশে সবজি চাষে সফল রেজাউল করিম
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

মৎস্য ঘেরের চারপাশে সবজি চাষে সফল রেজাউল করিম

কেশবপুর (যশোর) : মেধা মনন আর ইচ্ছাশক্তি একজন মানুষকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার মূল মন্ত্র। এই দৃষ্টিভঙ্গি, সততা-সাহস নিয়ে স্বপ্নটাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন রেজাউল করিম। মৎস্য ঘেরের চারপাশে সবজি চাষে সফল এবং স্বাবলম্বী তিনি। তিনি কেশবপুরের বাউশলা গ্রামের গোলাম হোসেন শেখের ছেলে। বিভিন্ন লোকের পরামর্শ নিয়ে ৩ বছর আগে ৩ একর জমিতে মৎস্য চাষ শুরু করেন তিনি।

 

রেজাউল করিম বলেন, আমার বন্ধু কামরুজ্জামান একজন বিজ্ঞ কৃষিবিদ। এক দিন আমার মাছের ঘের দেখতে আসেন তিনি। তারপর আমাকে পরামর্শ দিলেন চারপাশে সবজি লাগানোর। সেই অনুপ্রেরণায় আমি শুরু করি ভেড়িতে নানাবিধ সবজি চাষের।

 

সরেজমিন দেখা যায়, সবুজ পাড়ের চারপাশে বিভিন্ন প্রকার সবজির সমারোহ, থরে থরে ঝুলে আছে উন্নত জাতের তরমুজ, পেঁপে, কাকরোল, সিম, বরবটি, কলা, পেয়ারা, লাউ, ঝিঙ্গে, কামড়ো শশা, চুইঝাল, বেগুন ইত্যাদি। মৎস্য ঘেরের পাড় দিয়ে মাচা তৈরি করে ১২ মাসি তরমুজ ফলানো হচ্ছে।

 

এসব সবুজ ফসল যেমন মানুষকে আকৃষ্ট করছে তেমনি ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ করে বছরে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা আয় করা যাচ্ছে। তার ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে। অনেক ঘের মালিক ও এলাকার অনেক যুবক ঘেরপাড়ে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

 

তিনি জানান, অন্য ব্যবসা ব্যক্তিকেন্দ্রিক বলে আমি একটি মৎস্য ঘের করি, যেখানে নানা দেশীয় প্রজাতির মাছসহ যুবসমাজকে এই কাজে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য আমি ঘেরের পাশাপাশি সবজি চাষ শুরু করি। এখানে প্রতিদিন পাঁচজন শ্রমিক কাজ করে।

 

মৎস্য ঘের কর্মচারী মুজিবর সরদার বলেন, আমরা অনেক সময় কাজ না পেয়ে বেকার হয়ে পড়ি। এলাকার একজন শিক্ষিত মানুষ মৎস্য ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ শুরু করায় আমরা সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমাদের এলাকায় এ ধরনের সবজি চাষ আগে ছিল না। আমরা যে মজুরি পাই তাতে আমরা খুশি।

 

রেজাউলের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, আমি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আমি এই কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিয়েছি। আমি নিজে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি পালন করি। তাতে আমার পরিবার আর্থিকভাবে লাভবান হয়। আমার এই কর্মকাণ্ড দেখে এলাকার অনেক মহিলা হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলের চাষ করছে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় দরিদ্র মহিলারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা