logo
আপডেট : ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:৩৯
ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি, মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি, মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রয়োজনীয় জনশক্তি, বেড এবং লজিস্টিকস সাপোর্ট তৈরি রাখার জন্য হাসপাতালগুলোকে বলা হয়েছে। এখন যে রোগীরা হাসপাতালে যাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই ডেঙ্গু শকে পরিণত হচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. আহমেদুল কবির।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি হাসপাতালগুলোয় যতসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন, তাদের সবাইকে সেবা দেয়া হচ্ছে। এখনো বড় কোনো চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়নি। তবে সামনে আক্রান্তের সংখ্যা যদি বেড়ে যায়, তাদের সেবা দেয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া এখন যে রোগীরা আসছেন, তাদের বেশিরভাগই ডেঙ্গু শকে পরিণত হচ্ছে। আহমেদুল কবীর বলেন, যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নিচ্ছে, তারা যেনও সরকারি নিয়ম মেনে রোগীদের ভর্তি করায়। কোনোভাবে রোগীকে যেন হয়রানি না করা হয়। এছাড়া তাদের ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্টের জন্য রোগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়।

 

তিনি জানান, ডেঙ্গু রোগী কমছে না। এতে আক্রান্তের সংখ্যা কখন কত হবে, বলা যাচ্ছে না। কোথায় আজকে ১২৩ জন ভর্তি হলো, পরদিন তা ২০০ জনও হতে পারে। যেহেতু এটি নিয়মিত বাড়ছে কোনো রোগীকে যেন বিনা চিকিৎসায় বাড়ি ফিরে যেতে না হয়, সেজন্য আমরা সরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় জনশক্তি, বেড এবং লজিস্টিকস সাপোর্ট তৈরি রাখবে।

 

অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো জানান, এবারের ডেঙ্গু রোগীরা বেশিরভাগ ডেঙ্গু শকে পরিণত হচ্ছে। ফলে দেখা যায়, আক্রান্তের পাঁচ দিন পর রোগী যখন মনে করেন তিনি সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, তখনই তাদের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। জ্বর যখনই কমে আসছে, রোগীর রক্তচাপও কমে যাচ্ছে। সেসময়ে ভালো চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু সেরে যায়। তবে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে। এসব ক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে। এ জটিল পরিস্থিতিকেই বলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের উপসর্গ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হওয়া কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া। ত্বক শীতল হয়ে যাওয়া। ত্বকের ভেতরের অংশে রক্তক্ষরণের কারণে ত্বকের ওপর লাল ছোপ সৃষ্টি হওয়া। বমি, মল কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রচণ্ড পেটব্যথা ও অনবরত বমি হওয়া, নাক ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ ও অবসাদ। কখনো মস্তিষ্কের ভেতর রক্তক্ষরণ হতে পারে। এরকম অবনতি দেখলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা