logo
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:১৯
রামপালে ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৭০ হাজার
বাগেরহাট প্রতিনিধি

রামপালে ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৭০ হাজার

বাগেরহাট : বাগেরহাটের রামপালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মানুষের জানমাল ও গবাদিপশু রক্ষার জন্য এ উপজেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ টি স্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলো অস্থায়ী কলেজ, স্কুল ও মাদরাসা। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৭০ হাজার। ২০০ জন সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে ও সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য শুকনা খাবার, মোমবাতি ও দিয়াশলাই পাঠানো হয়েছে। ১০ ইউনিয়নে ১০ টি মেডিকেল টিম, ১ টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মতিউর রহমান জানান, আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্যোগ মোকাবিলায় মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে, যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।

 

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিবুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় আমরা ব্যপকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমাদের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সার্বিকভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। প্রয়োজনে নৌবাহিনীও জরুরী পরিস্থিতিতে আমাদের সাথে কাজ করবে। সন্ধ্যার মধ্যে মহিলা, বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝড়ের গতিপ্রকৃতির উপর গভীরভাবে নজর রাখা হচ্ছে। এজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোংলা সমুদ্র বন্দর ও এর আশপাশের এলাকা সমুহকে ৭ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/আসা