ঢাকা: ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলেই ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কৃষিতে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মহাপরিচালক (বীজ)সহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংস্থা প্রধান, ঘুর্ণিঝড়প্রবণ জেলাসমূহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা হলো-
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল এবং সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ।
সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা;
ঘুর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান;
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা;
ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট প্রদান;
ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত করে রাখা যাতে করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করা যায়;
যেসব এলাকায় আমন ধান ৮০% পেকেছে সেগুলো কর্তনের জন্য পরামর্শ প্রদান;
উপকূলীয় এলাকায় ফসল ক্ষেতে পানি প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করা;
জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধন করা;
স্লুইচ গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য ক্ষেতে প্রবেশ রোধ করতে হবে। অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
ভোরের আকাশ/আসা