logo
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:০৯
স্মরণ সভায় প্রধান বিচারপতি
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা রেখে গেছেন রফিক-উল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়
অসামান্য ভূমিকা রেখে
গেছেন রফিক-উল হক

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কোনোদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা রেখে গেছেন মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তার সেই অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

 

দেশবরেণ্য আইনজীবী প্রয়াত ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের স্মরণ সভায় এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

 

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। তাকে স্মরণ করতেই গতকাল সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক কখনোই আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেননি। আইনজীবী হিসেবে তিনি কিছু অত্যাবশ্যকীয় নীতি মেনে চলতেন। তিনি কখনোই নীতি থেকে বিচ্যুত হননি।

 

প্রধান বিচারপতি বলেন, যে কোনো পেশায় শুধু যোগ্যতা থাকলেই স্বকীয়তা আসে না। পেশার বাইরে তার জ্ঞানের পরিধি থাকতে হয়। রফিক-উল হক একাধারে আইন, ইতিহাস, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। একজন আদর্শ নীতিবান আইনজীবী হিসেবে তিনি আইন পেশাকে মহিমান্বিত করেছেন।

 

প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি শুধু আইনি প্রতিকারই দেননি, মানুষের দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি অসংখ্য সমাজকল্যাণমূলক কাজ করেছেন। ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে জমি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা ছিল তার। এ ছাড়া বারডেম হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় তিনি প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল ও আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার অবদান চিরস্মরণীয়। তার মতো মেধাবী, জ্ঞানী ও কর্মঠ লোক আমার জীবনে কমই দেখেছি। তার বৈচিত্র্য কর্মধারায় আরো একটি দিক হলো যুগের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানি আইন আরবিট্রেশন আইনের সংশোধনী প্রণয়নে অসাধারণ ভূমিকা। কমার্শিয়াল আইন প্রণয়নে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তার অমলিন স্মৃতি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা