logo
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:৫৮
বৈশ্বিক সংকটে অর্থনীতিতে ধাক্কা, উত্তরণের উপায়
জাফর আহমদ

বৈশ্বিক সংকটে অর্থনীতিতে ধাক্কা, উত্তরণের উপায়

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে দেশে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি করেছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে; মানুষ এখন সংকটে। দেশের অর্থনীতির প্রধান তিন ভিত্তি হলো- খাদ্য উৎপাদন, বণ্টন ও প্রবাসী আয়। একদিকে বৈশ্বিক সংকটে রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লেগেছে; অন্যদিকে আমদানি ব্যয় বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। এর প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থা চলতে থাকলে দেশে অর্থনৈতিক সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর বলছেন, সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন, মজুত ও বণ্টনে মনোযোগ দেয়া এবং শিল্প ও কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রদান করতে করবে। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

 

দেশে এখন স্মরণকালের মূল্যস্ফীতি চলছে। ১০ শতাংশ ছুঁইছুঁই। এটা সৃষ্ট আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স আশানুরূপ বৃদ্ধি না পেয়ে, বরং হ্রাস পাওয়ার ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি অনিশ্চিত রয়ে গেলে আমদানি ব্যয় আরো বাড়বে। কমবে রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয় এবং কর্মসংস্থান। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে মূল্যস্ফীতি। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বারবার এ বিষয়ে সতর্ক করছেন। এ অবস্থায় প্রয়োজনে খাদ্য উৎপাদন, শিল্পসেবা উৎপাদনে মনোযোগ দিতে হবে। দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের চাহিদামতো খাদ্যের জোগান দিচ্ছে।

 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছর চাল উৎপাদন হয়েছে ৪০৫ কোটি টন, গম ১২ লাখ টন এবং ভুট্টা ৫৬ লাখ টন। দেশের মানুষের চাহিদা মোতাবেক এ খাদ্য যথেষ্ট। কিন্তু বৈশ্বিক বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সারের অনিশ্চয়তার কারণে খাদ্য উৎপাদনে খরচ বাড়ছে। সংকট তৈরির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন অন্যতম খাদ্যভাণ্ডার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে খাদ্য সরবরাহ কঠিন হচ্ছে। আগামী দিনগুলোয় আরো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এজন্য গম, সার ও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির থাকবে এবং দাম বেড়ে যাবে। ডলার বাজার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্য পেলেও বেশি দাম দিতে হবে। কোনো অবস্থায়ই সস্তায় খাদ্য পাওয়া যাবে না। খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে যাবে; বিশেষ করে আমদানিনির্ভর খাদ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। এর প্রভাবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্যের দামও বাড়বে।

 

এ মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে নিজেদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, এবার ধানের উৎপাদন ভালো আছে। কিন্তু আগামী মৌসুমে সেচের জন্য প্রয়োজনমতো বিদ্যুৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে; সার সরবরাহ পেতে চ্যালেঞ্জ হবে। কৃষকের হাতে টাকা থাকবে, বীজ কিনতেও সমস্যা হতে পারে। গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। বোরো ধান উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রথমত, উপযুক্ত বীজ সরবরাহ করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সস্তায় বীজ নিশ্চিত করতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, সার। লক্ষ করেছি, ডিলারদের সৃষ্ট সমস্যার কারণে সার সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে- যাতে কৃষক সময়মতো সার পেতে সমস্যায় না পড়েন। শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কমবে, সেক্ষেত্রে সেচে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে। সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দিয়েছেন আরেক সাবেক গর্ভনর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদও।

 

তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে, তা খাদ্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত সংকট। খাদ্য উৎপাদন করেও উচ্চমূল্যের কারণে মানুষ খাদ্য পাবে না। এজন্য কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিদ্যুৎ, সার ও বীজে ভর্তুকি দিতে হবে। কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রয়োজনে ভর্তুকি কমাতে হবে, কম প্রয়োজনীয় মেঘা প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। আইএমএফসহ বিভিন্ন মহল থেকে কৃষিতে ভর্তুকি বন্ধের যে পরামর্শ দেয়া হয়, এ পরামর্শকে গুরুত্ব না দিতে পরামর্শ দেন এ সাবেক গর্ভনর।

 

সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় বিদ্যুৎই বাহক : বোরো ধানের ক্ষেত্রে সেচ গুরুত্বপূর্ণ। কৃষক যেন সময়মতো সেচ দিতে পারে। আতিউর রহমান বলেন, নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হবে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখনো নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও সার সরবরাহ করা যায়নি। আশা করা যাচ্ছে শীতকালে শরাঞ্চলের মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকবে। এজন্য কিছুটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আর ভারত থেকে আরো বিদ্যুৎ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রামপাল থেকেই বিদ্যুৎ কিছুটা আসার কথা আছে। আর একটি কাজ করতে হবে, সেটা হলো সরকারের যান্ত্রিকায়নে যে ভর্তুকি আছে, ডিজেলচালিত সেচ ব্যবস্থাকে সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় স্থানান্তর করতে হবে। এটা করা সম্ভব হলে সস্তায় সেচ দেয়া সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে খাদ্য উৎপাদনে সমস্যা হয় মানুষ সেটা মনে রাখবে। এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়, এটিতে নজর দেয়ার প্রয়োজন।

 

উৎপাদনের সঙ্গে মজুত ও ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে হবে : আগামী বছরে খাদ্যসংকটের যে কথা প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তা বৈশি^ক সংকটের কথা। এর বাইরে কিছু বলছেন না। তবে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অনেক দেশের চেয়ে ভালো। আমরা কৃষির ওপর অনেক দিন থেকে জোর দিয়ে আসছি। সেটা অব্যাহত রাখতে হবে এবং প্রস্তুত থাকতে হবে। খাদ্যের সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় দৃষ্টি রাখতে হবে। খাদ্য উৎপাদন করে বসে থাকলেই চলবে না, সংগ্রহ ও মজুতও করতে হবে। এখন ২০ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে, এটা ৩০ লাখ টন করতে হবে। যেভাবেই হোক, এটা করতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও তদারকি আরো বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশের একেবারে মাঠপর্যায় থেকে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কোন এলাকায় কোন ফসল উৎপাদন করা হবে, কতটুকু জমিতে চাষ হবে, সেটা মাঠপর্যায় থেকে গৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়নকে তিন ব্লকে ভাগ করে সমন্বিত খাদ্য উৎপাদনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সম্ভাব্য খাদ্যসংকটের যে কথা বলা হচ্ছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

 

শিল্পকারখানায় জ্বালানি সংকট ও সমাধান : অর্থনীতির সংকটের মূল্যে এখন জ্বালানি। আমদানি সক্ষমতা হ্রাসের কারণ থেকে এ সমস্যার উদ্ভব। শিল্পকারখানায় চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। ফলে দিনের অর্ধেক সময় প্রায় কারখানা বন্ধ থাকছে বলে অভিযোগ মালিকদের। জেনারেটর দিয়ে জরুরি রপ্তানির মতো কিছু কাজ চালিয়ে নেয়া হলেও খরচ বেড়ে যাচ্ছে অস্বাভাবিকভাবে। রপ্তানিকারকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানির কার্যাদেশ কমে গেছে। যে কার্যাদেশগুলো আছে, বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যার কারণে এ রপ্তানিও সময়মতো দেয়া যাবে না। জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন করতে গিয়ে উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি অর্থবছরের শেষে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে শিল্প ও সেবা খাত। এতে কর্মসংস্থানে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। এমনিতেই অর্থনীতি চাপে আছে; যদি কর্মসংস্থান কমে যায়, তাহলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। সংকট আরো তীব্র হবে। বিদ্যুতের এ সমস্যা সমাধানে আপাতত লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না; এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি উপদেষ্টা। তিনি ব্যবসায়ীদের পরিষ্কার করে বলেছেন, জ¦ালানি কেনার মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ নেই। যে রিজার্ভ আছে জ্বালানি কিনতে গেলে নিঃশে^ষ হয়ে যাবে। সমাধানের পথ হলো, দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমিয়ে দেয়া।

 

মূল্যস্ফীতি ও হ্রাসের কৌশল : মূল্যস্ফীতি যে কারণে হয়, তার বড় কারণ হলো বাজারে অনেক টাকা থাকা। এ টাকা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে নেই। কিন্তু উচ্চবিত্ত মানুষের কাছে আছে। আতিউর রহমান বলেন, কোথায় টাকা আছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা জানে। এ টাকা তুলে নিতে কোনো ইনস্ট্রুমেন্টের দরকার, সেটাও জানে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেক্ষেত্রে সুদহার কিছুটা নমনীয় করতে পারে। সব ক্ষেত্রে না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে করতে পারে। ইতোমধ্যে কাজ শুরুও করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক যে কাজগুলো করছে, সেগুলো মানুষকে জানাতে পারছে না। স্পষ্ট করে বলতে হবেÑ মূল্যস্ফীতির জন্য আমরা এগুলো করছি, আরো করব। যাতে মানুষের কাছে বার্তা যায়। মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে যে মূল্যস্ফীতি, সেটা কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। আবার সরবরাহ চেইন বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি ও অন্যান্য ঋণ দিচ্ছে।

 

সম্ভাব্য সমস্যা ও সমাধানে কৌশল : সমস্যা সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ দিয়েছেন সাবেক গর্ভনর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, ডলারের দাম নির্ধারণ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এগুলো অনেকটা অ্যাডহক ভিত্তিতে। হঠাৎ হঠাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বা জ¦ালানি ও খাদ্যপণ্য আমদানিতে সমন্বিত ও পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। সম্ভাব্য সমস্যা সমাধানে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য জোর দিতে হবে।

 

তিনি বলেন, যেভাবেই হোক, বর্তমান উৎপাদন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা আরো বাড়াতে হবে। রপ্তানিতে চ্যালেঞ্জ আছে, রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। যারা উৎপাদন করছে, তারা ব্যাংক ঋণও পাচ্ছে না। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক আবার সংকোচন নীতি নিয়ে বসে আছে। এতে মুদ্রা সরবরাহ কম হচ্ছে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে গভীরভাবে চিন্তা করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। আমদানি করার ক্ষেত্রে প্রায়োরিট নির্ভর দ্রুত করার ব্যবস্থা করতে হবে। যখন যেটা দরকার, সেটা করতে হবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থা করতে হবে।

 

আগামী দিনের সমস্যা সমাধানে কৃষিনির্ভর দেশজ অর্থনীতিতে জোর দেন আতিউর রহমান। বলেন, দেশজ অর্থনীতিকে জাগিয়ে রেগে বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে বর্তমান এবং সম্ভাব্য যে সংকট সেটা মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশে নিজস্ব অর্থনীতি সৃষ্টিতে ২০০৯ সাল থেকেই কাজ করা হয়েছে। আমরা নিজেদের অর্থনীতির মডেল তৈরি করতে পেরেছি। যেটা অন্তর্ভুক্তিমূলক। সেই কৌশলে কৃষি, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এগুলোয় আরো জোর দিতে হবে। রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রবাসীদের জন্য সহজ শর্তে বন্ড ছাড়াসহ আর যেসব উপায় আছে, সেগুলো গ্রহণ করে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে হবে। দেশজ অর্থনীতিতে গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী দিনে লোকাল ও স্থানীয়- এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। বৈশি^ক ও স্থানীয় অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক রেখে যে অর্থনীতি হবে, তা হবে নর্মাল অর্থনীতি। আগামী বছরে যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে, এ ভারসাম্যমূলক অর্থনীতি বড় ভূমিকা রাখবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা