ভোলা: ভোলায় তৃতীয় দিনের মতো লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
টানা তিন দিন ভোলার সঙ্গে বরিশালের লঞ্চ স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা ও বরিশালের বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন।
এ রুটে নৌযান ছাড়া বিকল্প যানবাহনের ব্যবস্থা নেই। যেকারণে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনসহ জরুরী প্রয়োজনে পড়া মানুষেরা ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটে অবস্থান করে নানাভাবে যাতায়াত করছেন। এজন্য তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া ।
এছাড়া ভোলার অন্য উপজেলার সঙ্গে চলাচলকারী বাস বন্ধ থাকায় স্বাভাবি চলাচলে বিঘ্ণ ঘটছে।
ভেদুরিয়া ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী বলেন, ’আমার নানু মারা গেছে। নানা বাড়িতে যেতে হবে সাহেরা সাহেবেরহাট পর্যন্ত। ঘাটে এসে আমি দেখি লঞ্চ স্পিডবোট কিছু ছাড়ছে না। আমার মনে অনেক শোক।’ কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরেক যাত্রী বলেন, আমি বরিশাল যাওয়ার জন্য আসছিলাম। ঘাটে এসে লঞ্চ স্পিডবোট কিছুই পাচ্ছিনা। বরিশালে হাসপাতালে আমার আত্মীয় অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি। এজন্য আমার যাওয়াটা খুব বেশি জরুরি। আমি গতকালকে এসেছিলাম যেতে পারিনি। আজকেও আসছি এখনো পর্যন্ত যেতে পারতেছিনা। ঘাটে অপেক্ষা করতেছি।
ধর্মঘটের বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতি কিংবা বাস মালিক সমিতি কেউই সুস্পষ্টভাবে কিছুই বলতে পারেনি এবং প্রশাসনও কোনো বক্তব্য দিতে নারাজ।
ভোরের আকাশ/আসা