logo
আপডেট : ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৫৪
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইটভাটার কার্যক্রম
মো. আফজাল হোসেন, (ফুলবাড়ী) দিনাজপুর

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইটভাটার কার্যক্রম

দিনাজপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। ছবিটি রোববার তোলা

মো. আফজাল হোসেন,ফুলবাড়ী: পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ২৫০টি মধ্যে বৈধ মাত্র ২০টি ইটভাটায় চলছে সব ধরনের কার্যক্রম। নির্দিষ্ট কিছু ভাটা বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ইট তৈরি এবং ইট পোড়ানোর কার্যক্রম।

 

ইটভাটা মালিকদের একটি সূত্র জানায়, ছাড়পত্রের ঝামেলা সহজেই মিটে যায় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়। পরিবেশকে মারাত্মক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিয়ে এই টাকা যাচ্ছে কোথায়? এমন প্রশ্নে তারা নিশ্চুপ। কিছু কিছু ভাটার মালিক নিজ নিজ উদ্যোগে পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য নির্দিষ্ট চালানে এবং জেলা প্রশাসকের এল আর ফান্ডে লাখ লাখ টাকা জমা করছেন।

 

অপরদিকে প্রশাসনকে ম্যানেজের নামে আদায় করা চাঁদার কোটি কোটি টাকা কারা নিচ্ছে- সে তথ্য ইটভাটার মালিকরা জানেন না বলে জানিয়েছেন।

 

তবে টাকা নেয়ার জন্য যারা আসে তাদের সোজাসাপটা কথা, কখনোই মুখ খোলা যাবে না। কিন্তু ইটভাটার লাইসেন্স বা পরিবেশের ছাড়পত্রের বিপরীতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া লাইসেন্স না পাওয়ার অজুহাতে কোটি কোটি টাকার ভ্যাটও আদায় করতে পারছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

 

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রতিবারের মতো এবারো একই কথা- অবৈধ ইটভাটা বন্ধসহ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর এটি হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া।

 


দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, ১৩ উপজেলায় ২৪৫টি ভাটার মধ্যে মাত্র ২০টির পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে। বাকিগুলো চলছে অবৈধভাবে। অবৈধ হলেও বিরাট এলাকাও বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়েই ভাটা পরিচালিত হচ্ছে।

 

দিনাজপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলায় সর্বাধিক উর্বর জমি হিসেবে বিবেচিত উপজেলা হচ্ছে চিরিরবন্দর। এই উপজেলায় ১০০টির বেশি ইটভাটা চালু রয়েছে। আবার একটি ইউনিয়নে ২৫টির বেশি ইটভাটা থাকার নজির রয়েছে। এতে করে বিভিন্ন ধরনের আবাদি ফসল এবং আম-লিচুর ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পার্শ্বে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় ভাটার ধোঁয়া চোখে পড়ে।

 

এ বিষয়ে ইটভাটার কয়েকজন মালিক বলেন, এসব লিখে কি হবে? প্রশাসন সবকিছুই জানে। কেবল আমাদের উপর লুকিয়ে ভাটা চালানোর দায় চাপানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা ঠিকই টাকা দিচ্ছি। অথচ এই টাকা সরকারি কোষাগারে না গিয়ে কোথায় যাচ্ছে তা আমাদের জানার কথা নয়। অথচ শর্তসাপেক্ষে ইটভাটা করার অনুমতি দিলে সরকার লাভবান হবে। আমরাও শান্তিতে ইটভাটা চালাতে পারব।

 

ভোরের কাগজ/নি