নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্ত্রী কহিনূর বেগমকে (৩০) হত্যার দায়ে তার স্বামী মো. মিল্লাদের (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো.মিল্লাদ সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরমজিদ গ্রামের মো.শাহজাহানের ছেলে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক সামছুদ্দিন খালেদ এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী শিশু ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মর্তুজা আলী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামী মিল্লাদ রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৭ সালের ২ মার্চ বিকালে রিকশা নিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী তাকে পান আনতে বলেন। কিন্তু রাতে পান না নিয়ে আসায় দুই জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে মিল্লাদ স্ত্রী গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
মিল্লাদের বাড়ির পাশে তার শ্বশুর বাড়ি। ঘটনার সময় তাদের সন্তান বাড়িতেদ ছিলো না। ছিলো নানা বাড়িতে। সেখান থেকে সন্তান এসে মাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। খবর পেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসে ঘর থেকে কহিনূরের লাশ উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মিল্লাদকে ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করে সমাজের লোকজন। ঘটনার পরদিন কহিনূরের ভাই বেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে মিল্লাদকে আসামি করে চরজব্বর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. মিরাজ উদ্দি জুয়েল বলেন, আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। কোন সাক্ষী সংজ্ঞায়িত ভাবে বিষয়টি প্রমাণ করতে পারে নাই। তারা বিষয়টি দেখেনি, শুনেছেন। কিন্তু আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত শুনানি শেষে মিল্লাদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
ভোরের আকাশ/আসা